শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গও উপজেলার প্রয়াত প্রবীন সাংবাদিক মোহাম্মদ মহররম খান কর্তৃক পবিত্র কোরআন শরীফের ১৪ পারা কবিতার ছন্দে বাংলায় অনুবাদকৃত মহাকাব্যে কোরান এর প্রকাশনা ও হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ জুলাই শুক্রবার বিকেলে। শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের বিপুল রঞ্জন চৌধুরী-মহররম খান কনফারেন্স হলে আয়োজিত এ প্রকাশনা ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী এর হাতে মহাকাব্যে কোরান এর দুটি কপি হস্তান্তর করেন প্রয়াত সাংবাদিক মহররম খানের স্ত্রী কবিরুন্নেসা খানম ও তার পরিবারের সদস্যরা।
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ ছায়েদ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কাব্যগ্রন্থের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন মহররম খানের বড় মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা রোকেয়া খানম, দুই ছেলে প্রকৌশলী মাহবুব আহমেদ খান ও প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ খান, জামাতা মৌলভীবাজার বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মিজানুর রহমান মিজান, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ কাওছার ইকবাল ও সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাংবাদিক মহররম খানের কন্যা পারুল খানম (গৃহিনী), মনোয়ারা খানম মিলু (অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার), সেলিনা খানন শেলী (শিক্ষিকা), রুকশানা খানম মনি (শিক্ষিকা), বড় জামাতা মকবুল আলী (অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা), নাতনির শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ও শ্রীমঙ্গল দুপ্রক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
আলোচকরা বলেন, সাংবাদিক মহররম খান জীবনের শেষদিকে এসে এ কাজটি শুরু করেন। তাঁর ইচ্ছা ছিলো কোরআনের ৩০টি পারার সারমর্ম বাংলায় তর্জমা করে কাব্যে রূপ দিতে। কিন্তু তিনি তা করে যেতে পারেননি। ১৪ পারা পর্যন্ত শেষ করেছিলেন। বাবার এ কীর্তি স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে তাঁরই হাতের লিখা (পান্ডুলিপি) পজেটিভ করে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাদের পিতার হস্তাক্ষরও বেঁচে থাকবে। তবে তারা শিকার করেন, মুদ্রনকৃত কাব্যে সামান্য ভুলক্রটি আছে বা থাকতে পারে- যা তারা পরবর্তি মুদ্রনে বা প্রকাশনায় সংশোধন করে নিবেন। অনুষ্ঠানে মহররম খানের স্ত্রী কবিরুন্নেসা খানম তাঁর স্বামীর লিখা একটি কবিতার কিছু অংশ পড়ে শোনান। সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ কাওছার ইকবাল তার বক্তব্যে মরহুম মহররম খানের স্মৃতিচারণ করেন।
উল্লেখ্য, গ্রন্থটির রচয়িতা শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দ্য ডেইলি নিউনেশন পত্রিকার শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা ছিলেন। তিনি ১৯৯২ সালে বাধক্যজনিত কারণে শ্রীমঙ্গলের ভানুগ্রাছ রোডস্থ (১০নং এলাকার) নিজ বাড়িতে মৃত্যৃবরণ করেন।