দেশে ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার নিট রিজার্ভ

দেশে ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার নিট রিজার্ভ

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: দেশে ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার নিট রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন মোট রিজার্ভের যে হিসাব প্রকাশ করে আসছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়। সব হিসাব বাদ দিয়ে রিজার্ভ দাঁড়াবে মোট ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।
তবে, আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল, নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করা। এক্ষেত্রে মানতে হবে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম-৬) বা বিপিএম৬ ফর্মুলা। এটি পুরোপুরি মানতে গেলে নিট রিজার্ভ নেমে যাবে ২০ বিলিয়নের ঘরে। কারণ, দেশের প্রকাশ করা রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ছাড়াও এক বছরের বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের সমপরিমাণ অর্থ বাদ দিলে পাওয়া যাবে নিট রিজার্ভ।
বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে ইডিএফ ও বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ। এগুলোসহ মোট রিজার্ভ এখন ২৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ করা ৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে নিট রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।
১৮ জুন রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক অনুষ্ঠানে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের এই মুদ্রানীতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, “আমরা সরবরাহ সাইড ঠিক রেখে নীতি সুদহার বাড়াচ্ছি, যাতে সরকারি ঋণেও অর্থ খরচ বাড়ে। টাকার সরবরাহ কমিয়ে এনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাটাই উদ্দেশ্য।” এবারের ষান্মাসিক মুদ্রানীতিকে ‘কন্ট্রাকশনারি ও টাইট’ ভঙ্গির মুদ্রানীতি হিসেবে বর্ণনা করেন গভর্নর। তিনি বলেন, আমরা রিজার্ভ থেকে যেসব বিনিয়োগ করেছি সেগুলো ঝুঁকিমুক্ত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের সব ঋণের গ্যারান্টার রয়েছে। সব টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ফেরত পাবে। তাদের স্থানীয় মুদ্রায় সমন্বয়ের মাধ্যমে শ্রীলংকার লোনও আমরা ফেরত পেতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *