সুরমার ঢেউ :: পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারের এক মসজিদে বোমা হামলায় প্রায় ৯৬ জন মুসল্লি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৫৭ জন। ৩০ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জোহরের নামাজের সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর : দ্য ডন।
স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছে- জোহরের নামাজের সময় ওই হামলাকারী প্রথম সারিতে নামাজের জন্য দাঁড়ায়। নামাজ শুরু হওয়ার পরই তিনি বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। এতে মসজিদে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে প্রায় ১৫৭ জন আহত হয়। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহদের উদ্ধার করে পেশোয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান- ওই মজিদে জোহরের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা উপস্থিত হন। তখনই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরই টুইট বার্তায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি বলেন ইমরান খান।
াএদিকে এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান ( টিটিপি )। সোমবার বিকেলে এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানি তালেবানের একজন কমান্ডার সারবাকাফ মোহমান্দ এই হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মসজিদে আত্মঘাতী হামলাটি তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধমূলক হামলার অংশ ছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মোহমান্দ নিহত টিটিপি কমান্ডার উমর খালিদ খুরাসানির ভাই। গত আগস্টে আফগানিস্তানে এক অভিযানে খুরাসানি নিহত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশজুড়ে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো। এসব হামলার বেশির ভাগ করছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে টিটিপির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে ‘যুদ্ধবিরতির’ সমাপ্তি টানে টিটিপি। তারপরই তারা পাকিস্তানে হামলা জোরদার করে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরমান খান টুইট বার্তায় বলেন, পুলিশ লাইন মসজিদে নামাজের সময় সন্ত্রাসী আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নিহত ও আহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।