বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) :: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহি আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক এ.বি.এম মনসুর আলম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি……..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি ১ পুত্র, স্ত্রী ও আত্নীয়-স্বজন, সহকর্মী, অনেক ছাত্রছাত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার আকষ্মিক মৃত্যুতে গভরি শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
জানা যায়- প্রতিদিনের ন্যায় ২২ জানুয়ারি রবিবার সকালে প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলাকালে হঠাৎ তার বুকে ব্যাথা অনুভব করলে, সহকর্মীরা সাথে সাথে তাকে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারের একটি চিকিৎসালয়ে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহজাহান তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সিলেট নিয়ে যেতে বলেন। এরপর তাকে সিলেট ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ষ্ট্রোকাক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার লাশ সিলেট থেকে আউশকান্দি স্কুল এন্ড কলেজে এসে পৌছলে হাজারো ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবক, সহকর্মী শিক্ষক, শিক্ষিকা, রাজনৈতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্থরের মানুষ তাকে একনজর দেখার জন্য ক্যাম্পাস মাঠে ভীড় জমান। জানাযার নামাজের পূর্বে বক্তব্য রাখেন- প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, প্রভাষক ইকবাল বাহার তালুকদার, আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দিলাওর হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হাজী সুহুল আমিন, আব্দুল হামিদ নিকছন, শিক্ষক জিয়াউর রহমান মীর, শিক্ষক কায়ছার হামিদসহ অনেকে। জানাযার নামাজ পড়ান প্রতিষ্ঠানের ইসলাম শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান জামে মসজিদের ঈমাম জিয়াউর রহমান মীর। জানাযার নামাজে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে রাত ৮টার দিকে তার লাশ তার নিজ গ্রাম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার খারুয়া গ্রামে নিয়ে ২য় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শিক্ষক এ.বি.এম মনসুর আলম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার খারুয়া গ্রামের মৃতঃ আব্দুল মজিদের পুত্র। তিনি বিগত ৩ নভেম্বর ১৯৯০ সালে ঘোলডুবা এম.সি. উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে ১ ফেব্রুয়ারী ২০০০ সালে আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে যোগদান করেছিলেন।