শ. ই. সরকার জবলু :: মৌলভীবাজার জুডিশিয়াল আদালতে ২০২২ সালে ১০ হাজার ২৪৬টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। তন্মধ্যে ১০ বছরের অধিক পুরাতন ১১টি ও ৫ বছরের অধিক পুরাতন ২৫১টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। ১৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট আদালত জানায় ডিসেম্বর মাস শেষে ৭ হাজার ৩৫৫টি মামলা চলমান রয়েছে। সাক্ষী গ্রহণ করা হয় ১৩ হাজার ৩৭৬টি। রেকর্ড রুমে রক্ষিত ১ হাজার ২৩টি মেয়াদোত্তীর্ণ নথি বিধি মোতাবেক বিনষ্ট করা হয়। ২০২২ সালে ৫ হাজার ৩০৮টি নথি বিভিন্ন আদালত হতে প্রাপ্ত হয়ে রেকর্ড রুমে সংরক্ষণ করা হয়। মালখানায় রক্ষিত আলামতের মধ্যে থেকে ৬১০টি মামলার আলামত বিধি মোতাবেক ধ্বংস করা হয়। ২০২২ সালে সকল প্রকার রাজস্ব আয় থেকে ও বিভিন্ন সময়ে মামলার জব্দকৃত আলামত নিলামে বিক্রি করে অর্জিত ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ১শ ৯৩ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়মিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাজিস্ট্রেসির সকল আদালত ও বিভাগসমূহ এবং মৌলভীবাজার জেলার ৭টি থানা ও ২টি রেলওয়ে থানার মধ্যে ৪টি থানা ইতিমধ্যে সরজমিন পরিদর্শন করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান।
তিনি পর্যায়ক্রমে অন্যান্য থানাও পরিদর্শন করবেন। তিনি বলেন, সাধারণ বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ লাঘব ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য জুডিশিয়াল আদালতের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জগলুল হক, বেগম মুমিনুন্নিসা খানম, সাইফুর রহমান, মোাহাম্মদ দাউদ হাসান, বেগম হোসনেআরা বেগম, এম. মিজবাহউর রহমান, মোহাম্মদ জিয়াউল হক ও সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনজীবীগণ, পুলিশ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগ এবং অন্যান্য এজেন্সিসমূহ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান করছেন। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে সর্বোচ্চ মামলা নিষ্পত্তির জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজবাহউর রহমান ও আদালতের কার্যক্রমের সার্বিক অবদানের স্বীকৃতির জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানকে পুরস্কৃত করা হয়। বিচারপ্রার্থী জনগণ আশা প্রকাশ করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এ কার্যপদ্ধতির মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আরও গতিশীলতা আসবে।