সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ১১ ডিসেম্বর

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ১১ ডিসেম্বর

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশের পাল্টা শো-ডাউন সুনামগঞ্জে করার চেষ্টা করবে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ। আগামী ১১ ডিসেম্বর সংগঠনের জেলা সম্মেলনকে ঘিরে গণ-সমাবেশ করতে চায় আওয়ামীলীগ।
জানা গেছে- সুনামগঞ্জের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলার ১২ উপজেলা থেকে বড় জমায়েত সুনামগঞ্জ শহরে আনার চেষ্টা করবেন সংগঠনের দায়িত্বশীলরা। জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পান সংবাদকর্মীরা। সুনামগঞ্জ জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, সহ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সদস্য মুশফিক হোসেন ও আজিজুস সামাদ ডন।
২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি মতিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। পরে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ছয় বছর পর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে চাঙা জেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। ২৬ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করার পর নেতৃত্ব প্রত্যাশীদেরও দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহীদের কেউ কেউ আগে থেকেই রাজধানীতে ছিলেন। আবার অনেকে শনিবার বিকালেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।
জেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারও সভাপতি থাকতে আগ্রহী বর্তমান সভাপতি মতিউর রহমান। সভাপতি পদে শুক্রবার থেকে আলোচনায় রয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানের নাম। সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট ও কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডনের নামও সভাপতি পদে আলোচনায় আছে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের নাম এবারও আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া বর্তমান সহ-সভাপতি নোমান বখ্ত পলিন ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরীর নামও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছে।
নোমান বখ্ত পলিন বলেছেন, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে আগ্রহী। দলীয় প্রধান নিশ্চয়ই তাঁর পরিবারের ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বললেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে। গ্রেপ্তার, নির্যাতন, জেল কেটেছি, রাজনীতি ছাড়া অন্য কিছুই করি না। দল আমার ত্যাগ নিশ্চয়ই বিবেচনায় নেবে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন বলেছেন, বাবা-মা’র দেখানো পথ ধরেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি লালান করছে তাঁর পরিবার। ছয় বছর আগে নেওয়া দলের দায়িত্ব তিনি সূচারুরূপে পালন করেছেন। দলীয় প্রধান যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তিনি সেটিই পালন করবেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করছেন বহুবছর ধরেই। আওয়ামী লীগ প্রধান তাকে যেখানে কাজে লাগাবেন, তিনি সেখানেই কাজ করার চেষ্টা করবেন। সুনামগঞ্জের দায়িত্ব দিলে, তিনি দল গুছানোর চেষ্টা করবেন। মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, এখনো সম্মেলনের বিষয়ে চূড়ান্ত কিছুই তিনি জানেন না।
নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, সামনে কঠিন সময় মোকাবিলা করতে হবে দলের নেতৃত্বকে। এই বিষয়টি নিশ্চয়ই দলীয় প্রধান বিবেচনা করবেন। দলীয় নেতৃত্ব যাকেই জেলার নেতৃত্ব দেবেন, তিনি সেটিই মেনে নেবেন।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমেদ হোসেন বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপি আহামরি কিছুই করতে পারবে না। তাদের গণ-সমাবেশের পাল্টা শো-ডাউনের চিন্তা করে সুনামগঞ্জের সম্মেলনের তারিখ দেয়া হয়নি। সুনামগঞ্জ একটি বড় জেলা। সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ওই দিন এ জেলার সম্মেলন হবে। জেলা সম্মেলনের আগে ওই জেলার আর কোন উপজেলা সম্মেলন হবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *