সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মেট্রোরেল চালু হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক। ২৩ নভেম্বর বুধবার সকালের ওই অনুষ্ঠানে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল ‘এমআরটি লাইন-ওয়ানে’ পিতলগঞ্জ ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নে ঠিকাদার নিয়োগে চুক্তি সই করে ডিএমটিসিএল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, জাইকার সহায়তা ছাড়া এ ধরনের প্রকল্পকে আলোর মুখ দেখানো সহজ হতো না। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির আশা যানজটের টেকসই সমাধানে কাজে আসবে এ প্রকল্প।
তিনি আরো বলেন- প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট খুলে দেয়া হবে। এ পথ পাড়ি দিতে পড়বে ৯টি স্টেশন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণসামগ্রী সরানো হয়েছে। বিশেষ করে কংক্রিট ও স্টিলের রোড ট্রাফিক বেরিয়ার। এ ট্রাফিক বেরিয়ার একসময় ভুগিয়েছে পথচারীদের। মূলত মেট্রোরেলের পিলার নির্মাণ করার সময় নিরাপত্তার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয়।
ডিএমটিসিএল জানায়- সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ অনুসরণে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সার্বিক গড় অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৮৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুসরণে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার জন্য নকশা পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে। শুরু করা হয়েছে এ অংশের পরিষেবা যাচাই এর কাজ।