আশার আলো জ্বালিয়েছে সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড

আশার আলো জ্বালিয়েছে সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: আশার আলো জ্বালিয়েছে সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। বিশ্বজুড়ে যখন চরম জ্বালানি সংকট ঠিক তখন পাওয়া গেছে এ সুসংবাদ। বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে প্রায় ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। ২৭ নভেম্বর রোববার রাতে ৫ বছর পরিত্যক্ত থাকা সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। আর গত ২৮ নভেম্বর সোমবার থেকেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে এ কূপের গ্যাস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গ্যাসের চাপ পরীক্ষার (টেস্টিং) কাজ শেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য কারিগরি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রোববার রাত ১২টার পর থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। তবে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে সোমবার সকাল থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এ কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা যাবে।
বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারো তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনঃখননকাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। কূপে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিতের পর গত ১০ নভেম্বর থেকে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়। বর্তমানে কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে, কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে পাওয়া যাবেদৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *