বিশেষ প্রতিনিধি- মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের মহেষগৌরি গ্রামের আছলম মিয়ার বাড়ীতে হামলা ভাংচুর আহতের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামী কুরফান আলী(৫৬) সহ ৪ জন আসামী জেল হাজতে।
মঙ্গলবার (১ লা নভেম্বর) মৌলভীবাজার আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পণ করলে মহামান্য আদালত মামলার ১ নং আসামী কুরফান আলী(৫৬) গংদের সহযোগী মদনগৌরি গ্রামের আমিন আলীর পুত্র রকিব খান(৪৫) কুরবানপুুর গ্রামের আলাই মিয়ার পুত্র মহিন মিয়া(২২) ও সাদিপুর গ্রামের রজব আলীর পুত্র সালাউদ্দিন (৩০) কে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ হামলা ভাংচুর, হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট,গুরুতর জখম,অগ্নিসংযোগ ও ক্ষতিসাধনসহ প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে গত ২৪ অক্টোবর কুলাউড়া থানায় আছলম মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনের নামোল্লেখ করে অঞ্জাত ১০০/১৫০ জন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং ২৮ তারিখ ২৪/১০/২০২২ ইং জিআর ২৭৪/২২(কুলাউড়া)
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,গত ১৩ ই অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে দুপুর ১২ টায় মহেষগৌরি গ্রামের অসুস্থ আছলম মিয়া কে হত্যার উদ্দেশ্য পার্শ্ববর্তী বাড়ীর দাঙ্গাবাজ,পরধনলোভী কুরফান আলী ১০০/১৫০ জন লোক নিয়ে বাড়ীতে হামলা করে বসত ঘরের টিনের চাল ছিদ্র করে গোয়ালঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।বাড়ীর রাস্তা কোদাল,খন্তি,দা ইত্যাদি দেশিয় অস্ত্রে সস্ত্রে মাটি কেটে বড় বড় গর্ত করে জমিতে মিশিয়ে দিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিলে আছলম মিয়া বাঁধা দিতে চাইলে তাকে কাঠের বর্গা( লাঠি) দিয়ে মাথায় আঘাত করিলে তিনি ডান হাত দিয়ে প্রাণে বাচার চেষ্টা করেন।সাথে সাথে বর্গার আঘাতে ডান হাতের হাড় ভেঙে গেলে দৌড়ে নিজ ঘরে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।হাল্লা চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে আছলম মিয়া কে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।ঘটনাস্হলে পুলিশ উপস্হিত হওয়ার খবর পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান,আসামীরা এলাকার চিহ্নিত দাঙ্গাবাজ সন্ত্রাসী পরধনলোভি প্রকৃতির লোক।তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।দীর্ঘদিন থেকে আছলম মিয়ার বাড়ীর রাস্তায় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
মামলা দায়েরে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে,এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয় টি আপোষে নিষ্পত্তির চেষ্টা চালিয়ে তাদের কাছে ব্যর্থ হওয়ায় বিলম্ব হয়েছে।