সুরমার ঢেউ সংবাদ :: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে একই ইউপির সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার জুয়েল মিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার। ২৬ অক্টোবর বুধবার ভুক্তভোগী ওই মহিলা মেম্বার এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- গত ১ অক্টোবর বিকাল ৪টায় মেম্বার জুয়েল মিয়া উপজেলা থেকে একটি বরাদ্দ আনার জন্য ওই নারী মেম্বারকে ফোন করে জানান এবং তাৎক্ষনিক উপজেলায় যেতে বলেন। এমনকি তখন না গেলে বরাদ্দ অন্যজন পেয়ে যাবে বলে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে পরে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করেন মেম্বার জুয়েল মিয়া।
ভুক্তভোগী নারী মেম্বার বলেন- উপজেলা প্রাঙ্গণে যাবার পর মেম্বারের বরাদ্দের বিষয় জানতে চাইলে সে জানায় তুমি দেরি করে ফেলেছো। তবে অসুবিধা নেই সন্ধ্যার সময় কর্তৃপক্ষ আসবেন, তখন তোমার কাগজপত্র দেয়া হবে। আমি তার কথামত অপেক্ষা করতে থাকি। অপেক্ষা করতে করতে প্রায় রাত সাড়ে ১০টা হয়ে যায়। তখন আমি বিদায় নিয়ে বাড়িতে আসার জন্য উপজেলার সামনে সিএনজির অপেক্ষা করতে থাকি। কোন যানবাহন না পেয়ে অপেক্ষা করতে করতে রাত প্রায় সাড়ে ১১টা হয়ে যায়।
তখন হঠাৎ পিছন থেকে জুয়েল এসে বলে আমার এক পরিচিত সিএনজি আছে, চল সামনে যাই তোমাকে দিয়ে আসবে বাড়িতে। এই বলে আমাকে একটি বাসায় বসিয়ে রাখে গাড়ী আনতে যায়। কিছুক্ষণ পরে এসে বলে কোন গাড়ী নেই, আজ তোমাকে এখানেই আমার সাথে থাকতে হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলব বলে আমার হাত থেকে আমার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়।
‘আমি চিৎকার করতে চাইলে আমার মুখ চেপে ধরে বলে যদি কোন রকম আওয়াজ করি তাহলে খুন করে ফেলবে। এরপর আমাকে জোর করে রাতভর ধর্ষণ করে। আমার সন্তান ও স্বামীর দোহাই দিয়েও তাকে থামাতে পারিনি। ভোর হলে একটি সিএনজি এনে বিদায় করে দেয়। আমি বাড়িতে পৌছার আগেই সে আমার বাড়ী ও এলাকার মানুষের কাছে জানিয়ে দেয়। আমি বাড়িতে আসা মাত্রই আমার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়।’ তিনি বলেন- আমি এখন আমার বাবার বাড়িতে বসবাস করছি। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চাইলে সে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি যদি কোন ধরনের মামলা বা অভিযোগ দায়ের করি তাহলে আমাকে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে দেবে। এমনকি এ বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন উচ্চ মহল থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং আমি যেন গ্রাম থেকে বের হতে না পারি সে জন্য গ্রামের চারিদিকে লোক পাহারা দিয়ে রেখেছে। এখন আমার অবস্থা এমন যে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ঘটনা এবং অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন- লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।