মৌলভীবাজারে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার

মৌলভীবাজারে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার

ইশরাত জাহান চৌধুরী, ষ্টাফ রিপোর্টরি :: আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ। জেলার কমলগঞ্জ থানাধীন লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কে গণডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার বিষয়ে ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এক প্রেস বিফিংয়ে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কে গাছ ফেলে বেশ কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে মো: সবুজ মিয়া (৫০) ওই ডাকাতির ঘটনায় ১৪-১৫ জন জড়িত থাকার কথা আদালাতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আটককৃতদের মধ্যে ওই ঘটনার অন্যতম হোতা বশির আহমদ (৩৫), গ্রামের বাড়ি আমবাড়ি,দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ ও মো: আবুল হোসেন (৩৫) গ্রামের বাড়ি পূর্বভাগ, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তার বর্তমান ঠিকানা রায়েরগ্রাম, দক্ষিণ সুরমা,সিলেট। এই দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য ৫ জনকে বিভিন্ন সময়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই ৫ জন হলো কইনুল ইসলাম খান, গ্রামের বাড়ি আলালপুর, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার। সবুজ মিয়া (৫০) গ্রামের বাড়ি পান্ডাইল পাইকপাড়া চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ। লোকমান মিয়া (৩০) শ্রীপুর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার। আব্দুল মালিক (২৪) শ্রীপুর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও আরিফ মিয়া (৪২) শ্রীপুর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।
ওই ডাকাতির ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর কমলগঞ্জ থানায় মামলা হয়। মামলা নং- ১৬। ধারা ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড। ডাকাতদের কাছ থেকে নগদ ৫৩ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন মডেলের ১৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতির সময় ব্যবহৃত কয়েকটি দা, চাকু, রাম দা, করাতসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ওই ডাকাত দল গত ১৩ অক্টোবর হবিগঞ্জের মহাসড়কে গণডাকাতির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে প্রেসবিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, খুনের একাধিক মামলা রয়েছে।
এছাড়াও প্রেসব্রিফিংয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা উন্নতির স্বার্থে নানা পদক্ষেপের কথা জানানো হয় এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়। প্রেসবিফিংয়ে হাসান মোহাম্মদ রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), সুদর্শন কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস), মোঃ আব্দুল হাই চৌধুরী ডিআইও- ১ সহ পুলিশের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *