সুরমার ঢেউ সংবাদ :: হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র (লাইটিং এরেষ্টার মেশিন) স্থাপন কাজ এখনো শেষ হয়নি। বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র স্থাপনকাজের জন্য সরকার গত অর্থবছরে কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে- চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ২০২০ সালে ১৫ ও ২০২১ সালে ১২ জন বজ্রপাতে মারা যান। সূত্র মতে, প্রতিবছর বজ্রপাতে গড়ে ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে- গেল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলায় বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপনের কাজ শেষ হয়নি। আজমিরিগঞ্জ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান- পৌর এলাকাসহ ৬টি স্থানে বজ্রনিরোধক যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ না হবার ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তাজ উদ্দিন জানান- ভাটি এলাকা থেকে পানি সরে না যাওযায় মেশিন বসাতে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি বলেন- খুব তাড়াতাড়ি এ কাজ শেষ করা হবে। বানিয়াচং উপজেলায় ৭টি জায়গায় বসানোর কথা থাকলেও ৩টি স্থানে যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাশ জানান- বাকি ৪টি বজ্র নিরোধক যন্ত্রে আইওটি সুবিধা থাকবে। এর মাধ্যমে যন্ত্রটি কি পরিমাণ বজ্রপাত প্রতিরোধ করেছে তা জানা সহজ হবে। সাধারণ বজ্র নিরোধক যন্ত্রের চেয়ে এর মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা বেশি। দুর্যোগ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনা জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে বাহুবল উপজেলায় ১৫ লাখ, নবীগঞ্জ উপজেলায় ৩০ লাখ, বানিয়াচঙ্গ উপজেলায় ৪৫ লাখ, আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় ৩০ লাখ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৫ লাখ, লাখাই উপজেলায় ২৫ লাখ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ১০ লাখ. চুনারুঘাট উপজেলায় ১৫ লাখ ও মাধবপুর উপজেলায় ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। জেলা দুর্যোগ ও পুনর্বাসন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন জানান- নিচু এলাকায় পানি শুকিয়ে গেলেই যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ হবে।