সিলেট বিভাগের ৩৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর

সিলেট বিভাগের ৩৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: সিলেট বিভাগের ৩৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণ না করে টিলা/পাহাড় কর্তনের কারণে এ ৩৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। ১০ অক্টোবর সোমবার এনফোর্সমেন্ট শুনানির মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার শাহেদ আলী লাকড়ি মিল ও দয়াময় বেকারিকে ৫ হাজার টাকা করে ও আনিছা লতিফিয়া অটো রাইস মিলকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সিলেটের খাদিমনগর বিসিক এলাকার সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার শাহেদ আলী অটো রাইস মিল, শ্রীমঙ্গলের সাতকরা রেস্টুরেন্ট, শাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, লিচু বাড়ি ইকো কটেজ, হোটেল দিন-রাত্রি, টং থাই ইকা, গার্ডেন ভিউ রেস্ট হাউজ, নিসর্গ নীরব ইকো কটেজ, হিমাচল টুরিস্ট লজ, হোটেল সন্ধ্যা, হোটেল মুন, হোটেল তাজমহল ও শান্তি বাড়ী ইকো রিসোর্টকে ১০ হাজার করে জরিমানা করা হয়। বিসিক মৌলভীবাজারের মেসার্স ডেভেলাপ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মেসার্স মডার্ন ফার্নিচার এন্ড স’মিল ও বিসিক মেসার্স মুকিত মেটালকে ১৫ হাজার করে জরিমানা করা হয়। বিসিক মৌলভীবাজারের মেসার্স ঢাকা মেটাল, মেসার্স রফিক আয়রন এন্ড স্টিল, মেসার্স আল-আমিন ফ্লাওয়ার মিল, শ্রীমঙ্গলের কুটুম বাড়ী রেস্টুরেন্ট ও সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের মেসার্স ফজলুর রহমান স’মিলকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। শ্রীমঙ্গলের গ্রিন প্যালেস টি, হোটেল আল মদিনা ও শ্রীমঙ্গল ইন, সুনামগঞ্জ সদরের সোহাগ মসলা মিল ও নুর স’মিলকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। সুনামগঞ্জ সদরের মেসার্স রীনা স’মিল ও সবজান স’মিলকে ৩৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। সুনামগঞ্জ সদরের এ আর ট্রেডিং এন্ড কোং-কে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া পাহাড় কর্তনের দায়ে সিলেট সদর উপজেলার দাসপাড়ার খালেদ ওসমানীকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সিলেট নগরের জালালাবাদ থানা এলাকার লাখালিয়া নামক স্থানে টিলা কর্তনের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নাসির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ইমরান আহমদ বলেন- আমরা পরিবেশ রক্ষার্থে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। আজ এনফোর্সমেন্ট শুনানির মাধ্যমে এ জরিমানা করেছি এবং তাৎক্ষনিক ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫ শত টাকা আদায় করেছি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে আমরা তৎপর আছি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *