রাজনগরে প্রায় ১৬ কোটি টাকার মূল্যের সরকারি ভূমি উদ্ধার

রাজনগরে প্রায় ১৬ কোটি টাকার মূল্যের সরকারি ভূমি উদ্ধার

মোঃ শাহ জালাল, রাজনগর প্রতিনিধি :: রাজনগরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার ভূমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। উপজেলার সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের মুন্সিবাজারে অবৈধভাবে দখল করে রাখা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা মিলিয়ে প্রায় ৮০ টি দোকান ও স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
১১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে পরিচালিত এ অভিযানে সহায়তা করে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় দোকান মালিকদের সূত্রে জানা যায়-উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের জেএল নং ৩৫ এর দক্ষিণভাগ মৌজায় মুন্সিবাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৩.৯০ শতাংশ এবং জেলা প্রশাসনের খাস খতিয়ানের ১.৩০ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা দোকানকোঠা নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল স্থানীয় কিছু মানুষ। এসব দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা সরকারী জায়গা থেকে সরিয়ে নিতে অবৈধভাবে থাকা ব্যবসায়ীদের বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে ওই ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ ঠেকাতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করতে থাকে। পরে গত সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে থাকা ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে স্থাপনা ভাঙ্গতে মাইকিং করে।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী, মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. জিয়া উদ্দিনের উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ৮০টি দোকান উচ্ছেদ করে ৬৫.২০ শতাংশ জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে রাজনগর উপজেলা প্রশাসন।
মুন্সিবাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আইয়ুব বলেন- কয়েক মাস আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। সোমবার মাইকিংও করা হয়েছে। সড়ক ও প্রশাসনের জমি ছেড়ে দিতে সবাই বাধ্য।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন- আমরা ব্যবসায়ীদের আগে জানিয়েছি। তারা নিজেরা না সরানোর কারণে আমরা উচ্ছেদ করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেছে। জেলা প্রশাসনের খাস ও সড়ক বিভাগের মিলিয়ে ৬৫.২০ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এখানকার প্রতি শতাংশ জমির বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *