সুরমার ঢেউ সংবাদ :: বড়লেখা সরকারী ডিগ্রী কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদপ্রত্যাশী ভুক্তভোগী এমরুল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- গত ১ সেপ্টেম্বর বড়লেখা সরকারী কলেজের ফেসবুক পেইজে অন্যান্য বিষয়ের সাথে ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে খন্ডকালিন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখে ইংরেজির প্রভাষক পদে এমরুল হোসেন ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক পদে মোস্তাফিজুর রহমান আবেদন করেন। ৫ সদস্যের নিয়োগ বোর্ড গত ১৪ সেপ্টেম্বর লিখিত ও ১৫ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করে। এতে ইংরেজি বিষয়ে এমরুল হোসেন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম হন। নিয়োগ বোর্ডের প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী তাদেরকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তারা মানসিকভাবে বড়লেখা ডিগ্রী কলেজে যোগদানের প্রস্তুতি নেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারেন তাদের নিকটকতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের (যারা ২০-৩০% নম্বর কম পেয়েছেন) আগামী ১ অক্টোবর যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী এমরুল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া স্বত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। এব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান- বড়লেখা ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের খন্ডকালিন প্রভাষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দুইজন প্রার্থী অনিয়মের লিখিত অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।