সুরমার ঢেউ সংবাদ :: বড়লেখা জামেয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী সুপারিন্টেনডেন্ট নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুহাম্মদ কামরুল হাসান।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ কামরুল হাসান জানান- তিনি বড়লেখা জামেয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী সুপার পদে আবেদন করেন। মাদ্রাসা সুপার ইসলাম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাদ্রাসার সাবেক সহকারী সুপার আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। সাবেক সহকারী সুপারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে বলেন, ১ লাখ টাকা দিতে পারলে আপনাকে সহকারী সুপার পদে নিয়োগ দিতে পারি।
৯ সেপ্টেস্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মুহাম্মদ কামরুল হাসান টাকা দিতে না পারায় সাবেক সহকারী সুপার ও সুপার ইসলাম উদ্দিন বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে অপর প্রার্থী বদরুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য- নিয়োগ বাণিজ্য সফল করতে মাদ্রাসা সুপার ইসলাম উদ্দিন ও সাবেক সহকারী সুপার আব্দুল করিম নিয়োগ বোর্ডের প্রধান মাদ্রাসা অধিদপ্তর প্রতিনিধি লুৎফুর রহমানের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন এবং প্রশ্নের নমুনা সংগ্রহ করেন। আব্দুল করিম ও যোগসাজসে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী সুপার বদরুল ইসলাম ঢাকা থেকে বিমানযোগে ডিজি প্রতিনিধিকে আনা-নেয়া করেন। সিলেট থেকে বিলাশবহুল প্রাইভেট গাড়িতে করে মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন ও পরে পৌঁছে দেন। এখানেই শেষ নয়, তারা ডিজি প্রতিনিধিকে দিনভর মাধবকু জলপ্রপাত ও হাকালুকি হাওর পরিদর্শন করিয়ে উপহার সামগ্রীও প্রদান করেন- যা অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন। সূত্রমতে ডিজি প্রতিনিধির জন্যই তারা অর্ধলক্ষ টাকার বাজেট করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান- বড়লেখা জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার সহকারী সুপার পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে পরামর্শ করে অভিযোগটির তদন্তের ব্যবস্থা নেবেন।