এম রাজু আহমেদঃঃ জুড়ী জাঙ্গিরাই গ্রামে ঘনবসতি এলাকায় সরকারী (এনিমি) জায়গায় অবৈধভাবে করাতকল স্থাপনের মাধ্যমে রাস্তায় চলাচলের বিঘœ ঘটিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। করাতকল স্হাপনের আশপাশের মানুষ গত কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো সুরাহা না পেয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অভিযোগকারীদলের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, জুড়ী-বড়লেখা সড়কের পাশে আমাদের এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য সরকারীভাবে ১২ ফুট প্রস্থ একটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা।একই গ্রামের আব্দুল হাসিম এর পুত্র, কথিত সমাজসেবক,গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান ও জারু মিয়ার পুত্র, সাবেক ইউপি সদস্য খুরশিদ আলী একত্রে মিলিত হইয়া একমাত্র চলাচলের এই রাস্তাটির পাশ ঘেষে সরকারি(এনিমি) মাত্র ৪ শতক জায়গায় অবৈধভাবে অনুমতি ছাড়া একটি করাতকল স্হাপন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করাতকলটি চালু হলে অত্র ঘনবসতি এলাকায় শব্দদুষণ সহ নানাবিধ সমস্যায় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হবে। জনবসতি এলাকা হইতে করাতকল ২০০ গজ দুরে স্হাপনের আইনি নির্দেশনা থাকলে ও তারা এ আইনের তোয়াক্কা করছেন না।অর্থ ও শক্তির জোরে রাস্তার পাশেই তারা করাতকল স্হাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়ে কোনো সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না।আশংকা করা হচ্ছে উক্ত স্হানে করাতকল স্থাপন করা হলে চলাচলের একমাত্র রাস্তার উপরে গাছ ফেলে রেখে একসময় রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা চলছে। অভিযোগকারীরা করাতকল স্হাপনের কাজ বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের জোর দাবী জানান। উল্লেখ্য উক্ত সরু রাস্তা এক শ্রেণীর অসাধুচক্র অতীতে দখলের পায়তারায় লিপ্ত হলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে তখন দখল প্রক্রিয়া বন্ধ হয়। ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে তখন প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বাসনা আক্তার, ভুক্তভোগী শিল্পি বেগম, আম্বিয়া বেগম, মানকি বেগম, শাহেরা বেগম, ফাতেমা বেগম, নুরজাহান বেগম,নুরুন্নেছা বেগম,রাবেয়া বেগম,রুশিয়া বেগম,আঙ্গুরা বেগম ও রিনা বেগম।