সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউপি’র সুহেল মেম্বারের বিরুদ্ধে কাবিখা প্রকল্পের গম বিক্রি করে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ করেছেন বাগমারা (মোকামবাজার) গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর পক্ষে আরাফাত মিয়া এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যানকে অনুলিপি সহকারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়- ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রথম পর্যায়ে “রাজনগর-বালাগঞ্জ পাকা সড়ক (ফতেপুর ইউনিয়নের বাঘমারা হতে আলকাছ মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা) পুণঃনির্মাণ কাজের জন্য ৯ মেট্রিক টন গম বরাদ্ধ দেয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ছয়ফুল আলম সুহেলকে এ কাজের দায়িত্ব দেন।
নিয়ম মোতাবেক হতদরিদ্র দিনমজুর দিয়ে মাটি কাটানোর কথা থাকলেও সুহেল মেম্বার একটি এক্সেভেটর দিয়ে মাটিকাটা শুরু করেন। এর প্রতিবাদে গ্রামবাসী এক্সেভেটর চালককে আপত্তি দিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করে দিলে সুহেল মেম্বার গ্রামবাসীকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে জোরপূর্বক এক্সেভেটর দিয়ে ৩ দিনে ২৫/৩০ ঘন্টা মাটিকাটান।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানান- গ্রামবাসীর প্রতিবাদের মুখে সুহেল মেম্বার ‘বাকি কাজ দিনমজুর দিয়ে করানো হবে’ বলে ৬ জন দিনমজুর দিয়ে ৩ দিন কাজ করানোর পর কাজ বন্ধ করে দেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফোন করলে অভিযুক্ত মেম্বার ছয়ফুল আলম সুহেল জানান- রাস্তার কাজে দেড় লাখ টাকার মত ব্যয় হয়েছে। ৯ মেট্রিক টন গমের কাজ স্বীকার করে তিনি জানান- বিল উত্তোলনের সময় পিআইও সাহেব ২ টন গমের টাকা রেখে দিয়েছেন।
পিআইও অফিস সহকারী সুমন জানান- ইউপি মেম্বারের এ বক্তব্য সম্পুর্ণ মিথ্যা। বিল উত্তোলনের সময় াপআইও সাহেব কোন টাকা রাখেননা।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল জানান- বৃহস্পতিবার একটা লিখিত অভিযোগ আমার অফিসে দেয়া হয়েছিল, তদন্তপুর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পিআইও সাহেবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত পিআইও আজাদের রহমান অভিযোগ তদন্তে ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মুয়াজ্জিন হোসেন, অভিযুক্ত সুহেল মেম্বারসহ এলাকার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত পিআইও আজাদের রহমান তদন্তকালে অভিযোগের আংশিক সত্যতা মিলেছে বলে জানান। এসময় সুহেল মেম্বার আত্নসাৎকৃত টাকা দ্রুত চেয়ারম্যানের কাছে ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার এবং পিআইও সাহেব ২ টন গম রেখে দেয়ার তথ্য মিথ্যা বলে স্বীকার করেন। চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ টাকা ফেরত প্রাপ্তি সাপেক্ষে রাস্তার অবশিষ্ট কাজ নিজ দায়িত্বে করানোর আশ্বাস দেন।