সুরমার ঢেউ এক্সক্লুসিভ :: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বন আইন লঙ্ঘন করে শুটিং করার অপরাধে বন বিভাগের মামলায় প্রাণ কোম্পানির প্রডাকশন হাউজের লাইন প্রডিউসার এবিএম রিন্টু’র জেলে গেছেন। ১৭ জুলাই রোববার বিকালে মৌলভীবাজার বন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বন আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট মোঃ সাইফুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়- গত ৮ জুন প্রাণ প্রডাকসন হাউজের এনার্জি ড্রিংকসের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণের জন্য ওই কোম্পানী বনের আইন ভেঙ্গে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে ধোয়া সৃষ্টি করে এবং বড় বড় দুটি জেনারেটর চালিয়ে বনের ভেতর আলোকিত করে শুটিং কার্যক্রম চালায়। একই সাথে তারা সেখানে অবস্থান করে রান্না শুরু করলে বন বিভাগের লাউয়াছড়ায় দায়িত্বরত কর্মীরা দ্রুত গিয়ে তাদের বাঁধা দেয়। পরে অননুমোদিতভাবে বনের ভেতরে জেনারটর ও শুটিং সরঞ্জাম রাখার কারণে বন বিভাগ তাদের মালামাল জব্দ করে। পরে এ ঘটনায় মৌলভীবাজার বন আদালতে মামলা করে বন বিভাগ। গত রোববার ওই মামলার ধার্য্য তারিখ ছিল। আদালতে হাজিরা দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন প্রাণ কোম্পানির প্রডাকশন হাউজের লাইন প্রডিউসার এবিএম রিন্টু। বিকালে জামিন আবেদনের শুনানী শেষে আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত। বনের পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলার অপরাধে এই প্রথম বন বিভাগের মামলায় কোন আসামিকে জেলে পাঠানো হলো।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, বনের আইন ভেঙ্গে বনের ভেতরে শুটিংয়ের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।