সুরমার ঢেউ সংবাদ :: ‘তীর’ সয়াবিন তেলে ভিটামিন এ না থাকায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। সিটি গ্রুপের “তীর” ও “ন্যাচারাল” ব্র্যান্ডের ভোজ্যতেলে সরকারের নির্ধারিত মাত্রার “ভিটামিন এ” না পাওয়ায় বিএসটিআই’র দায়েরী মামলায় সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলাম। এসময় ফজলুর রহমান বা তার কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
“তীর” ও “ন্যাচারাল” ব্র্যান্ডের ফর্টিফায়েড ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় কম পরিমাণে ভিটামিন-এ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর মামলাটি করে সরকারের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। মামলাটি করেন বিএসটিআইয়ের সে সময়ের পরিদর্শক রাজীব দাশগুপ্ত।
চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গার ভিওটিটি অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কারখানা থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করেছিল বিএসটিআইয়ের নজরদারি দল। মেসার্স ভিওটিটি ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান। তিনি শিল্প গোষ্ঠী সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি। সিটি গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভিওটিটি ওয়েল রিফাইনারি। বিএসটিআইয়ের আইনজীবী আশরাফ উদ্দিন খন্দকার অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেখান থেকে কিছু তেল জব্দ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তা নির্ধারিত মান উত্তীর্ণ না হওয়ায় মামলাটি করা হয়। আদালত বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠন করে একমাত্র আসমির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”
বিএসটিআই’র নির্ধারিত মান অনুসারে প্রতি কেজি ফার্টিফায়েড তেলে ১৫-৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ থাকতে হয়। কিন্তু, ওই কারখানা থেকে সংগ্রহ করা তীর ব্র্যান্ডের তেলে তা ছিল মাত্র ৩.১৬ মিলিগ্রাম এবং ন্যাচারাল ব্র্যান্ডের তেলে তা ছিল ৬.৪৭ মিলিগ্রাম। আইনজীবী আশরাফ উদ্দীন খন্দকার বলেন, পর্যাপ্ত ভিটামিন এ নেই এমন সয়াবিন তেল খেলে নানা প্রকার স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হতে পারে। ভোজ্য তেলে অবশ্যই ভিটামিন-এ নির্ধারিত মানে থাকতে হবে।