মৌসুমীর সঙ্গে দূরত্বের কথা স্বীকার করলেন সানী

মৌসুমীর সঙ্গে দূরত্বের কথা স্বীকার করলেন সানী

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: বেশকিছু দিন ধরে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে দূরত্ব চলছে বলে স্বীকার করে নিলেন স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী। ১৩ জুন সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন- আমি যা বলেছি স্পষ্ট করেই বলেছি। আমি শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলতে চাই। আমার পরিবারের প্রতি, মৌসুমীর প্রতি আমার প্রচণ্ড শ্রদ্ধা আছে, আমার ছেলে-মেয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। সে যা বলেছে, কী ভেবে বলেছে আই ডোন্ট নো।
ওমর সানী বলেন- এ বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন যাবৎ একটু দূরত্ব চলছিল। চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আপনারা ভালো জানবেন, ফোন রেকর্ড অনুযায়ী তার সঙ্গে আমার ফোনেও কথা হচ্ছিল না। আমি তার ব্যাপারে মন্দ কথা, খারাপ কথা কিছুই বলবো না। চলমান বিষয়টি নিয়ে এ চিত্রনায়িকার ভাষ্য- আমি মনে করি আমার প্রসঙ্গটা টানার কোনো প্রয়োজন ছিলনা। আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি ও আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটা খুবই ভালো একটা সম্পর্ক। সেখানে ও আমাকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সে কখনই আমাকে অসম্মান করেনি।
মৌসুমী বলেন- কেন এ প্রশ্নটা বারবার আসছে, সে আমাকে বিরক্ত করছে- উত্ত্যক্ত করছে, এ জিনিসটা আমার আসলে জানিনা এটা কেন হচ্ছে। এটা যদিও একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সমাধান করা দরকার ছিল। এদিকে ওমর সানি বলেন- কারণ সে স্টিল নাও আমার স্ত্রী। আমার সন্তানের মা। একটা কথা বলতে চাই- আমি কি বলেছি না বলেছি সম্পূর্ণ আমার ছেলে ফারদিন আমার মেয়ে ফাইজা আছে। আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ আছে জায়েদ খান যে ডিস্টার্ব করে। ফারদিন বলুক আর ফাইজা বলুক। আমার ছেলে-মেয়েরা বলুক এ বিষয়গুলো। আমি এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে চাই না।
১০ জুন শুক্রবার খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খান। অনুষ্ঠানে পিস্তল বের করে সানীকে গুলি করার হুমকি দেন জায়েদ। যদিও আগে অনুষ্ঠানে ঢুকে জায়েদকে দেখতে পেলে তাকে চড় মারেন সানী। এসময় জায়েদের উদ্দেশে সানী বলেন, তোরে না নিষেধ করছি, আমার বউরে (চিত্রনায়িকা মৌসুমী) ডিস্টার্ব করবি না। জবাবে কোমর থেকে তাৎক্ষণিক পিস্তল বের করেন জায়েদ। বলেন, গুলি করে দেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *