সুরমার ঢেউ সংবাদ :: আকস্মিক বন্যায় সিলেট বিভাগের মানুষকে আবারো বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হলো। এবারের বন্যা বিভাগীয় শহর সিলেটকে বেশি কাবু করে। নাব্যতা হারিয়ে শান্ত নদী সুরমা হঠাৎ করে বৈরীরূপ ধারণ করে। একরাতেই প্লাবিত হয় সিলেটের পাঁচটি উপজেলা ও নগরের নিম্নাঞ্চল। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাজার হাজার একর ফসলের জমি ডুবে যায়। অসংখ্য মানুষ সেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এসব হচ্ছে সিলেটের আন্ত:সীমান্ত নদীগুলোর পানি নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে।
৩১ মে বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত ‘অভিন্ন নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ : বিপর্যস্ত সিলেট’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন- উজানে ভারত একাধিক আন্ত:সীমান্ত নদীতে ড্যাম নির্মাণ করে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার সেখানে বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলে ড্যামগুলো খুলে দেয় তারা। আর এ কারণে ভাটির অঞ্চল সিলেট আকস্মিক বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া আমাদের নদ-নদী, ছড়া-খালবিলগুলো ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলার কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানি ধারণ করতে পারেনা আমাদের নদী ও হাওরগুলো। যার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে সিলেটের মানুষকে বাঁচাতে এখনই সরকারকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সিলেট নগরের ব্লু-ওয়াটারে ইমজার সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সহ-সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক রেজিস্ট্রার জামিল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং বাপার কেন্দ্রীয় সদস্য, শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক শাকিলের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনার শুরুতে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আবদুল করিম কিম।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সহসভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিল রেজাউলর হাসান কয়েস লোদী, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. আরিফ মিয়া, সাম্যবাদী দল সিলেটের সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন সিংহ, ঐতিহ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেটের সভাপতি মো. সিকন্দর আলী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, বাপা সিলেটের যুগ্ম সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বেলা সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস সোহেল, সারি বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদী, এস জে এ’র পরিচালক এ এইচ ফারুক আহমদ খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জান্নাত আরা দিলশাদ সঙ্গী, সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন, সিলেট জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি মাসুদ রানা চৌধুরী, দেশ টিভি সিলেটের প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ সুজাত প্রমুখ।