দিনমজুরের একাউন্টে ২ হাজার ৯শ ১১ কোটি রুপি

দিনমজুরের একাউন্টে ২ হাজার ৯শ ১১ কোটি রুপি

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: পাঁচদিন আগে গত ২৯ মে রোববার একটি বেসরকারি ব্যাংক (ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক) এর ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ (সিএসপি) থেকে থেকে ১ হাজার রুপি তুলতে গিয়েই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ার এক যুবকের চক্ষু চড়কগাছ। গত চার পাঁচ মাস ধরে ব্যাংকের বইয়ের রুপি (টাকা) তোলা বা জমা দেয়ার কাজ করেননি। রুপির প্রয়োজন পড়ায় এদিন ১ হাজার রুপি তুলতে গিয়ে ব্যাংকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রুপি থাকায় তিনি ১ হাজার রুপি তুলতে ব্যর্থ হন।
পরে সিএসপি থেকে তার ব্যাংক একাউন্টের একটি মিনি স্টেটমেন্ট বের করা হয়। তখনই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে হাবড়ার নাংলা এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর সুদীপ্ত হাজরার। তার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৯১১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার রুপি। বেসরকারি ব্যাংকে থাকা তার একাউন্টে কিভাবে এ বিপুল অংকের টাকা এলো, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না সুদীপ্ত হাজরা। এ ঘটনায় রোববার রাতেই হাবড়া থানার দ্বারস্থ হয় ৩২ বছর বয়সী যুবক সুদীপ্ত। থানার পক্ষ থেকে তাকে ব্যাংকের প্রধান শাখায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। যদিও সময়ের অভাবে এখনো তিনি তা করে উঠতে পারেননি। মঙ্গলবার ওই ঘটনার খবর এলাকায় জানাজানি হতেই সুদীপ্তের প্রতিবেশীরাও হতবাক। তার বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশিরা।
সুদীপ্ত জানায়- ওই বেসরকারি ব্যাংকে তার জমানো অর্থের পরিমান ছিল ৯ হাজার রুপি। এখন নিজের প্রয়োজনে সেই রুপিও তুলতে পারছেন না। যুবক চান তার অ্যাকাউন্ট আগের মতো অবস্থায় করে দেওয়া হোক। নিজের যেটুকু রুপি তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চান তিনি। রোববার কোটি কোটি রুপি অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর থেকেই উদ্বেগে রয়েছেন সুদীপ্ত ও তার বাবা কার্তিক হাজরা। চিন্তায় সুদীপ্তের পরিবারের সাথে প্রতিবেশিদেরও রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে।
কি করে এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ তার ব্যাংকে আসল, সে প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ্ত বলেন- আমি বলতে পারবো না। রোববার রুপি তুলতে গিয়ে দেখি এত রুপি জমা আছে। কত রুপি সেটাও আমি হিসাবে করতে পারিনি। রাতেই থানায় গিয়েছিলাম সেখান থেকে আমাকে বই আপডেট করতে বলা হয়। তিনি আরও জানান আমি চাই আমার আগে যে পরিমাণ রুপি ব্যাংকে জমা ছিল, সেটাই থাকুক। (সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *