মৌলভীবাজার জেলার শমশেরনগর-ব্রাহ্মণবাজার রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়নি এক বছরেও

মৌলভীবাজার জেলার শমশেরনগর-ব্রাহ্মণবাজার রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়নি এক বছরেও

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর হতে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়নি এক বছরেও। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন শমশেরনগর-ব্রাহ্মণবাজার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুণ:সংস্কার কাজের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাস্তার কার্পেটিং তুলে রাখা হয়। ফলে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিটের সন্নিকটে রেলগেট এলাকায় প্রায় দু’হাজার গজ রাস্তা দেবে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁদা জমে গাড়ি আটকে পড়ায় যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই স্থানে প্রতিনিয়ত যানবাহনের দীর্ঘ জট তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত প্রায় এক বছর যাবত সড়কের এই স্থানটির পিচঢালা তুলে রাখা হয়। পিচঢালা তুলে নেয়ার পর থেকেই রাস্তা গর্ত, ধুলাবালি ও বৃষ্টির সময়ে কাঁদা জমে প্রতিনিয়ত যানবাহন আটকা পড়ছে। দ্রুত কাজ না হওয়ার কারণে রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ যানবাহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের এই স্থানের দু’পাশে পুকুর থাকায় প্রতিনিয়ত রাস্তা দেবে যাচ্ছে। অনুরূপভাবে গত বুধবার সকালে ও দুপুরে ও বৃহস্পতিবার সকালে তিন দফা গাড়ি দেবে যাওয়ায় দু’পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি তৈরি হয়েছে। রোগীবাহী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী বাহী যানবাহন সমূহ দীর্ঘ সময় ধরে আটকা পড়ে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের।
যানজটে আটকাপড়া পথচারী সামছু মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবো। কিন্তু এখানে অনেক সময় ধরে আটকা আছি। কাঁদার মধ্যে দু’টি পিকআপ দেবে যাওয়ার কারণে পুরো রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে এখানে প্রতিদিন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
যানবাহন চালক রমজান আলী, বিল্লাল হোসেন, সিপন মিয়া বলেন, রাস্তার এই দশা আমাদের গাড়ির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আজ দীর্ঘ দু’ঘন্টা ধরে এখানে আটকা পড়েছি। সড়কের এই স্থানে বালি দিয়ে রাখার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ইট-পাথর থাকলে এতো সমস্যা হবার কথা ছিল না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন বলেন, এখানে কাজের ধীরগতির মূল কারণ হচ্ছে দু’পাশে পুকুর থাকায় মাটি দেবে যাচ্ছে। এজন্য ধীরে ধীরে কাজ করাতে হচ্ছে। বিকল্প রাস্তায় যাওয়া আসার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, কেউই বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেননা। স্থায়ী সমাধানের জন্য রাস্তার এ স্থানে কনস্ট্রাকশন কাজ ভালোভাবে করাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *