আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৌলভীবাজারের ৩ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের রায়

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৌলভীবাজারের ৩ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের রায়

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ৩ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে ১৯ মে বৃহস্পতিবার। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- আব্দুল আজিজ, আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মতিন। এদের মধ্যে আব্দুল মতিন পলাতক রয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। মোট ২৪০ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন বিচারপতিরা। আদালতে আসামি আব্দুল আজিজের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, আব্দুল মান্নানের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এম. সারোয়ার হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি। পরে প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি বলেন- ৩ আসামির সর্ব্বোচ্চ সাজা হয়েছে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন- এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
গত ১২ এপ্রিল এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ মে ৩ জনের রায় ঘোষণার জন্য ১৯ মে বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়। ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর শেষ করা হয়। ৩ আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো ৫টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এ ৩ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ১ মার্চ বড়লেখা থানা পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে ২ মার্চ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে দুই সহোদর আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মতিন ছাত্রলীগ করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যান। কিন্তু, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পালিয়ে এসে তারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। অপর আসামি আব্দুল মান্নান একাত্তরে স্থানীয় মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *