মৌলভীবাজার জেলায় কার কাছে কি পরিমান ভোজ্যতেল মজুদ আছে ?

মৌলভীবাজার জেলায় কার কাছে কি পরিমান ভোজ্যতেল মজুদ আছে ?

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলায় কার কাছে কি পরিমান ভোজ্যতেল মজুদ আছে এ তথ্য সংগ্রহ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,ে মৗলভীবাজার জেলা কার্যালয়। দেশে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানোর পরও সংকট কাটেনি। বাজারের বেশিরভাগ দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এরই জেরে জেলার ডিলার ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের সয়াবিন তেল মজুদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিমবাজার, জুগিডহর, সিলেট রোড, সেন্ট্রাল রোডসহ বিভিন্ন স্থানসহ জেলার অন্যান্য উপজেলায় খোজ নিয়ে এবং গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ডিলার ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের ভোজ্যতেল মজুদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী ডিলার এবং পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে অল্প পরিমাণ তেল মজুদ আছে। কারো কাছে একেবারেই নেই। বসুন্ধরার ডিলার শ্রীমঙ্গলের জননী স্টোর ও কুলাউড়ার সাইদুল এন্টারপ্রাইজের কাছে তেল নেই। তীর এবং রুপচাঁদার ডিলার সদর উপজেলার রিফাত ফুড, মৌলভী ক্যাশ এন্ড ক্রেডিট ও সোহেল এন্টারপ্রাইজের কাছেও তেল নেই। বড়লেখার সামছু ভেরাইটিজ স্টোরে আছে ১৩০০ লিটার, সদর উপজেলার মেসার্স সালাউদ্দিন স্টোরে আছে ৩০০০ লিটার, লিটন এন্টারপ্রাইজে আছে ২০০ লিটার ও শ্রীমঙ্গলের কুসুম বাণিজ্যালয়ে আছে ১৮০ লিটার। এরা সবাই পাইকারী ব্যবসায়ী।
তেলের ডিলার বড়লেখার ইমরান স্টোর, কুলাউড়ার জাহাঙ্গির স্টোর, সদর উপজেলার ইকবাল এন্টারপ্রাইজ, শ্রীমঙ্গলের মেসার্স কদর আলী স্টোর ও বড়লেখার রাজুল ট্রের্ডার্সে তেল মজুদ আছে যথাক্রমে ২০০ লিটার, ৩০০ লিটার, ১৪০ লিটার, ১০০ লিটার ও ১,১২০ লিটার। পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলের সরুবিন্দ এন্ড ব্রাদার্সে আছে ৪,৫০০ লিটার লুজ পাম ওয়েল।
জানা গেছে, মৌলভীবাজারে ভোজ্যতেলের সংকট আছে। তবে, ডিলার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে জানিয়েছে, কোম্পানিগুলো তাদের কাছে থেকে তেলের অর্ডার নিয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে তেলের চালান চলে আসবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক খুচরা দোকানে পর্যাপ্ত তেল না থাকলেও কিছু পরিমাণ তেল আছে। মৌলভীবাজারের সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নতুন দামে তেল আসার পূর্ব পর্যন্ত পূর্বের তেল পূর্বের দামেই বিক্রি করার জন্য। পূর্বের দামের তেল নতুন দামে কোনো ব্যবসায়ী বিক্রি করলে প্রমাণসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা যাবে বলেও জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *