সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মিশরে বাংলাদেশী ছাত্রদের সংগঠন ‘আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী কায়রোস্থ ছকরে কুরাইশ মসজিদুত তাইসির হলরুমে জাঁকজমপূর্ণ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নীলনদের দেশে বাংলাদেশী সবজি বাগান ‘তাজা এগ্রো’র সহযোগিতায় স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের সাবেক সভাপতি শরিফ উদ্দীন আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম।
সন্ধ্যায় আল-আজহারের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম, আবদুর রহমান ও সাজ্জাদ আকবরের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আজহার’র শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ আবু সায়েম। ঈদের নাশিদ পরিবেশন করেন ওবায়দুল্লাহ আল-আহরার।
সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগি করার প্রয়াসে সদস্যদের সরব উপস্থিতিতে মনে হচ্ছিলো এ যেন মিশরের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে পর্যায়ক্রমে বাংলা, আরবি, উর্দু ও তুর্কি ভাষায় নাশিদ পরিবেশনসহ শরীয়া সম্মত হাস্যরসে ভরপুর কৌতুক, ছোট্ট সোনামনিদের পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, নাশিদ আর ইংরেজীতে শিশুদের ঈদের দিনের সুন্নাতসমূহ উপস্থাপন দর্শকদের নজর কাড়ে।
এশার নামাজের পর অনুষ্ঠানের ২য় পর্বের শুরুতেই বক্তব্য দেন আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র উপদেষ্টা প্রতিনিধি শোয়াইব হোসাইন। এসময় সোসাইটির উদ্যোগে তিনজনকে ‘উসূলি মুহাদারা’ তাফসীর ওয়া উলূমুল কুরআন ও তুর্কি ভাষা শিক্ষা কোর্সের সার্টিফিকেট দেয়া হয়। উসূলী মুহাদারার মুহাদির ড. হাসিবুর রহমান আজহারী ও তুর্কি ভাষা কোর্সের প্রশিক্ষক সাজ্জাদ আকবরসহ অংশ নেয়া সবাইকে প্রশংসাপত্র দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এসময় তিনি মিশরে বাংলাদেশি ছাত্রদের প্রশংসা, শিক্ষা-ভাবনা, নৈতিকতা ও বিদেশ বিভুঁইয়ে অভিভাবকদের প্রতি বিশেষ দিক-নির্দেশনাসহ জীবনের বিচিত্র বহুদিক তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত সংগঠনটির দায়িত্বশীলদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন- ছাত্রদের এমন আয়োজন আমরা সবসময় উপভোগ করি। এখানে এসে দেশীয় একটা সুধা পেলাম। চমৎকার এ আয়োজনকে আমরা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকি- যেন প্রবাসীদের মাঝে মধ্যে বাংলাদেশি আচার অনুষ্ঠান চলমান থাকে। মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মো. মনিরুল ইসলাম বলেন- তোমাদের জন্য সবসময় দূতাবাসের দরজা খোলা। যে কোনো সমস্যার সমাধানে আমরা সবার পাশে আছি। অনুষ্ঠানে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবক, প্রবাসী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষকসহ অন্তত তিনশত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।