সুরমার ঢেউ সংবাদ :: ভোজ্যতেল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিমবাজারস্থ ইউনিক এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন। ভ্রাম্যমান আদালতের আদেশানুযায়ী জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ইউনিক এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজারকে আটক করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়।
পশ্চিমবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে- শহরে ভোজ্যতেলের সংকট চলছে এবং ইউনিক এন্টারপ্রাইজ নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভোজ্যতেল মজুদ করে রাখছে, এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫ মে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পশ্চিমবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ কার্যকরের জন্য সাথে ছিলো পুলিশ ফোর্স। ভ্রাম্যমান আদালত ইউনিক এন্টারপ্রাইজের কাছে সোয়াবিন তেল আছে কি-না জানতে চাইলে, তাদের কাছে সোয়াবিন তেল নেই বলে জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের স্টোরে তল্লাসী চালালে ৫৪ লিটার সোয়াবিন তেল পাওয়া যায়।
তাই, অবৈধভাবে ভোজ্যতেল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপরাধে ইউনিক এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মানবিক বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকার স্থলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। কিন্তু, ইউনিক এন্টারপ্রাইজের মালিক সৈয়দ মহিউদ্দিন শাহিন জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ম্যানেজার এনামুল হককে আটক করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় প্রেরণ হয়। পরে রাত ৮টার দিকে এশটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়- ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে যাওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হলে আটক ম্যানেজার এনামুল হককে মুক্তি দেয়া হবে।
ইউনিক এন্টারপ্রাইজের মালিক সৈয়দ মহিউদ্দিন শাহিনের দাবী- ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করেছেন। ৫ লিটার বোতলের ১ কার্টন এবং ১ লিটার পলিপ্যাকের ১ কার্টন তেল প্রতিষ্ঠানের তাকিয়ায় (থারিয়া বা সেল্ফ) না রাখায় এ জরিমানা করা হয়েছে। ঈদের আগে থেকেই ভোজ্যতেলের সংকট রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত ভোজ্যতেল না পেয়ে এ জরিমানা করা হয়েছে।
অপরদিকে, ইউনিক এন্টারপ্রাইজের মালিক সৈয়দ মহিউদ্দিন শাহিন ও তার সহযোগী ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ও জরিমানার প্রতিবাদে অনিদিষ্টকালের জন্য শহরের সকল মুদি দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ও জরিমানা করায় সন্তোষ ও সমর্থন প্রকাশ করছেন ভোক্তা সাধারণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক ভোক্তার পোস্ট, কমেন্ট, লাইক, শেয়ারে সরগরম হয়ে উঠেছিলো ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ও জরিমানার পক্ষে।