সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪ মার্চ সোমবার। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নেছার আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমানের পরিচালনায় মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য মুশফিকুর রহমান ও মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসীন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, সহ-সভাপতি মসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, কুলউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেণু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আকবর আলী, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আজাদুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বেবুল, রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত, মৌলভীবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিন্টু, জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ, আদমপুর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি আজির বকস, রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জি, চাঁদনীঘাট ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ মুশাহিদ আলী, রাজনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফরজান আলী প্রমুখ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া প্রতিনিধি সভায় দলের প্রয়াত নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন শেষে ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ দলের চলমান সাংগঠনিক কার্যক্রম, বিগত ইউনিয়ন ও পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হওয়া এবং বিভিন্ন এলাকায় দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হতে না পারার কারণ পর্যালোচনা করেন। সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অপূর্ব কান্তি ধর।
বক্তাদের বক্তব্যে দলের উপজেলা ও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে শতকরা ৮০ ভাগ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় থাকা, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, স্থানীয় সমস্যা, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্বলতা, ব্যাপক উন্নয়ন সত্ত্বেও দলীয় কোন্দলের কারণে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যানরা নির্বাচিত হওয়া, অনেকেই দিনে নৌকা, রাতে নৌকার বিরোধী, জেলা নেতৃবৃন্দ এদের চেহারা ভালো চেনা, মুজিব কোট রাতে পড়া, দিনে পড়া, গরমে পড়া, শীতে পড়া, ঘুমালেও মুজিব কোট পড়াদের জন্য জাতির পিতার মুজিব কোট পড়তে লজ্জা হওয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুবলীগের কমিটি অকার্যকর থাকা, নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা নাটক হওয়া, যথা সময়েই নির্বাচন হওয়া, জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের দাবি, দেশে চলমান নানা উন্নয়নের ফিরিস্তি ইত্যাদি নানা বিষয় উঠে এসেছে প্রতিনিধি সভায়। অপরদিকে, গত ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা, পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা, অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও পদ-পদবী হারানো নেতাদের অধিকাংশ এ প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন, এমনকি কেউ কেউ সামনের আসনে উপবিষ্ট ছিলেন। আর, আওয়ামীলীগের মনোনীত ও পরাজিত প্রার্থীরা ছিলেন একরকম কোনঠাসা।