জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষসহ গর্ভনিং বডির সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বিষয়টি তদন্ত করেন। জানা যায়, শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় কলেজে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১জন, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ১জন, নিরাপত্তা কর্মী ১জন, আয়া ১জন ও অফিস সহায়ক ১জনসহ মোট ৫টি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগের বিষয়টি গোপন রেখে গর্ভনিং বডির যোগসাজসে অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেয়ার জন্য বাচাই করেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন হয়। পরিক্ষায় ৫টি পদের জন্য মোট ২০জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরিক্ষা শুরু হওয়ার আগেই অধ্যক্ষ তার পছন্দের চাকরী প্রত্যাশিতদের হাতে প্রশ্ন পত্র পৌছে দেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে অভিবাকসহ চাকরী প্রত্যাশিরা ক্ষুব্ধহণ। পরে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগকৃতদের নিয়োগ বাতিল করা এবং নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ পরিক্ষায় কোন অনিয়ম হয়নি এবং কোন ধরনে টাকা পয়শাও নেয়া হয়নি। শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পরিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারী মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগ কারীদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছি। গর্ভনিং বডির সভাপতি এবং অধ্যক্ষের লিখিত বক্তব্যও নিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনটি যতাযত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্থান্তর করা হবে।