সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি ও গাত্রব্যথার প্রকোপ। জ্বর, সর্দি ও গাত্রব্যথার সাথে কাশি, গলাব্যথাও রয়েছে অনেকের। এ ধরনের রোগীদেরকে করোনা’র পরীক্ষা করালেই দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত। কিন্তু, ভয় ও অবহেলার কারণে অধিকাংশ মানুষ করোনা’র পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন না। উপসর্গ থাকলেও শনাক্ত না হওয়ায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। সেইসাথে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। জেলা জুড়ে চলমান এমন পরিস্থিতিতেও যথাযথভাবে পালণ করা হচ্ছেনা সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি। পূর্বেকার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকেও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যনে দেখা যায়- গতকাল ২৩ জানুয়ারী ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭০ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ৪৪.৯ শতাংশ। ২২ জানুয়ারী ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ। এর আগের দিন ২১ জানুয়ারী ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ৩৯.২ শতাংশ। ২০ জানুয়ারী ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ৩৮.৪ শতাংশ। ১৯ জানুয়ারী ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। অনুযায়ী শনাক্তের হার ৩৬.৪ শতাংশ। ১৮ জানুয়ারী ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ২৯.৯ শতাংশ। ১৭ জানুয়ারী ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ২৫.২ শতাংশ। তবে, এসময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান- ২৩ জানুয়ারী ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭০ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৪৪.৯ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৬২১ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনাকে জয় করেছেন ৭ হাজার ৫০১ জন। সরকারী হিসেবে জেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৭২ জন। তবে, বেসরকারী হিসেবে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা আরো বেশী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২ জন। বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯২৮ জন।
এই হচ্ছে গতকাল ২৩ জানুয়ারী পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার জেলার বর্তমান পরিস্থিতি। জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চললেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই প্রায়। জেলা ও উপজেলার জনসমাগম স্থলগুলো থেকে স্বাস্থ্যবিধি প্রায় একেবারেই উধাও। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনও এ ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে, আগামীকাল ২৪ জানুয়ারী থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।