ইসরাত জাহান চৌধুরী :: মৌলভীবাজারে ভয়ংকরভাবে হত্যা পরিকল্পনার সাজানো মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক শ. ই. সরকার জবলু। ভয়ংকরভাবে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ প্রমানীত না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ- ভয়ংকরভাবে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ এনে গত ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট মৌলভীবাজার মডেল থানায় ৩৩০নং জিডি করে সাংবাদিক জবলুর সাবেক ঘনিষ্ট সহকারী মশাহিদ আহমদ। উক্ত জিডির ভিত্তিতে মশাহিদ আহমদ তার ছবিসহ স্থানীয় মৌমাছিকণ্ঠ পত্রিকাসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টালে “মৌলভীবাজারে সাংবাদিককে ভয়ংকরভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা”, “সাংবাদিক মশাহিদকে প্রাণনাশের পরিকল্পনার একবছরেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ” ইত্যাদি বিভিন্ন শিরোনামে একের পর এক সংবাদ পরিবেশন ও ফেসবুকে শেয়ার করে।
উক্ত জিডি মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই তফাজ্জলের তদন্তাধীন থাকাবস্থায়, সাংবাদিক জবলুর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে মশাহিদ ও তার সহযোগী জাফর ইকবাল, চিনুরঞ্জন দাশ তালুকদার, আব্দুল বাছিত খান, আব্দুল মুকিদ ইমরাজ, বদরুল আলম চৌধুরী প্রমুখ ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর শহরের চৌমোহনা চত্বরে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করে। এর একদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর এসআই তফাজ্জল তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন (নন এফআইআর নং-৭৮/২০ইং, স্মারক নং- ৬০২০) দাখিল করেন- যা আদালতে শুনানী শেষে ৬৪/২০২০নং মামলা হিসাবে রেকর্ড হয়। এর একদিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর বসকু নামে ময়মনসিংহের একটি নামসর্বস্ব সংগঠন এ বিষয়ে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে। অপরদিকে, মামলার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক জবলু আত্নসমর্পণ পূর্বক জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে স্বাক্ষ্য, জেরা ও যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে চলতি ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত ‘অভিযোগ প্রমানীত না হওয়ায়’ আসামী সাংবাদিক জবলুকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। সাংবাদিক জবলুর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট রুনু কান্ত দত্ত। সহযোগীতা করেন এডভোকেট গোবিন্দ মোহন পাল। রায় প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিক জবলু বলেন- আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে অফুরন্ত শোকরিয়া আদায় করছি।
উল্লেখ্য- সাংবাদিক শ. ই. সরকার জবলু মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা। সেই সুবাদে তিনি ঘনিষ্ট সহকারী মশাহিদ আহমদকে সভাপতি করে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের ২ বছর মেয়াদি ১ম পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। এরপর দীর্ঘদিন কমিটির সভা না করা, আয়ব্যয়ের হিসাব না দেয়া, নতুন কমিটি নির্বাচনের উদ্যোগ না নেয়াসহ নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচার, আত্নসাৎ, সংগঠনের রেজুলেশন খাতাসহ সকল কাগজাত নিয়ে সটকে পড়া ও বার বার ডাকা সত্তেও সাড়া না দেয়ায় মশাহিদকে বহিষ্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জন্য আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর থেকে মশাহিদ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টাসহ সংগঠনের সিনিয়রদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালায় এবং প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক জবলুর বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক একাধিক মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে ‘ভয়ংকরভাবে হত্যা পরিকল্পনা’র সাজানো মামলা থেকে তিনি বেকসুর খালাস পেলেন।