সুুরমার ঢেউ সংবাদ :: সিলেট বিভাগের মধ্যে মেট্রো সিলেটের পরই মৌলভীবাজার সবচেয়ে অগ্রসর জেলা। কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, বর্তমানে সেভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। বর্তমান সরকার কাউকে অভুক্ত না রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে উন্নয়নের একটা জোয়ার চলছে। বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে উন্নয়ন হচ্ছেনা। সর্বত্র উন্নয়নের তোলপাড় চলছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে পিছিয়ে পড়া সকল জেলা-উপজেলার উন্নয়ন করা হবে। আমাদের দেশ মসজিদ, মন্দির, গির্জার দেশ। এ দেশে সকল সংস্কৃতি, সকল ধর্মের মানুষ সমান মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে।
১৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (টএওওচ-ওওও) প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহীত মৌলভীবাজার পৌরসভার শান্তিবাগ এলাকায় মনু নদীর পাড়ে সড়ক, শিশুপার্ক, হাটাপথ, ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতি চর্চার বিষয়। নির্বাচন বয়কট করে বেনামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, এ আবার কী ধরনের কাণ্ড !
পৌরমেয়র মোঃ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।
মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে ইতিমধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২২ সালের জুন মাসে। এ প্রকল্পে চাঁদনীঘাট মনু সেতু থেকে প্রধান ডাকঘর পর্যন্ত ৮০০ মিটার আরসিসি ঢালাই সড়ক পথ নির্মাণ করা হবে। সড়কের দুপাশে থাকবে হাঁটার পথ, একটি ক্যান্টিন ও নারী-পুরুষের জন্য পৃথক দুটি শৌচাগার। মনু নদীর পাড়ের সৌন্দর্য বাড়াতে ফুল ও নানা জাতের স্থানীয় গাছ লাগানো হবে, থাকবে উন্মুক্ত মঞ্চ। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০ কোটি ১১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৫ টাকা।
পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন- এখানে ছোট যানবাহন চলাচলের রাস্তা হচ্ছে। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। ছোট-বড় সবার সময় কাটানোর ব্যবস্থা থাকবে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ যাতে নিরাপদে হাঁটতে পারেন সে জন্য ওয়াকওয়ে থাকবে। সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ফুলসহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শহরের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে। তেমনি মানুষ কিছুটা সময় নদীর পাড়ে বসে, আড্ডা দিয়ে তাদের সময় ভালো করে কাটাতে পারবে। এছাড়া পর্যটকরা আসলে বিকেল এবং সন্ধ্যা উপভোগ করতে পারবেন। আমরা সঠিক সময়ে কাজটি শেষ করব।