সুুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও কুলাউড়ায় আওয়ামীলীগের ২৪ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বড়লেখায় ১৫ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। একইভাবে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু ও সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৯ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
বড়লেখায় বহিষ্কৃতরা হলেন- বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শামীম আহমদ ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল মুহিত, দাসেরবাজার ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার চক্রবর্তী, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মো. আতাউর রহমান ও মো. মুমিনুর রহমান টনি, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন, বড়লেখা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সিরাজ উদ্দিন, তালিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ও সদস্য সুনাম উদ্দিন, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুল জলিল ফুলু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল মানিক ও ইউনিয়ন তাঁতীলীগের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন এবং দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজির উদ্দিন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর জানান- দলের নির্দেশ অমান্য করে দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের নির্দেশে এ ১৫ জনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
কুলাউড়ায় বহিষ্কৃতরা হলেন- বরমচাল ইউনয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খোরশেদ আহমদ খান সুইট, ভাটেরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম নজরুল ইসলাম ও বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল ইবনে শহীদ চৌধুরী, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার বুবলি ও বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন, টিলাগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুদল মালিক, শরীফপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান, কর্মধা ইউনিয়নের মুহিবুল ই্সলাম আজাদ ও মছলু আমিন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলের পদ পদবী এমনকি দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়। স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য জেলা ও কেন্দ্র বরাবরে সিদ্ধান্তটি প্রেরণ করা হয়েছে।