ইশরাত জাহান চৌধুরীঃ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।
আগামী ১১ অক্টোবর (সোমবার) ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
মৌলভীবাজারে ইতিমধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালনের জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসবকে ঘিরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পূজো মন্ডপ গুলোতে চলছে বিশাল বিশাল প্যান্ডেল তৈরি আর সাজসজ্জার কাজ। শহরের সবচেয়ে বড় ৩টি পূজামণ্ডপ হলো, সৈয়ারপুর এলাকার তৃনয়নী, ফরেস্ট অফিস রোডের আবাহনী ও কাশিনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের খেলার মাঠে মহেশ্বরী পূজামন্ডপ।
দুর্গোৎসবকে ঘিরে কারিগরি নৈপুণ্য ফুটিয়ে তুলতে মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহুর্তের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। কথা হয় মৌলভীবাজার শহরের মহেশ্বরী পূজো মন্ডপ ও সুহৃদ সংঘের কারিগর বিশ্বজিত পালের সাথে। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী। তিনি প্রায় ৫০ (পঞ্চাশ) বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পেশায় নিয়োজিত। তিনি বলেন, শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছেন তারা। প্রতিবারের মত মা কে নিখুঁত ভাবে সাজিয়ে তুলতে শেষ মুহুর্তের ঘষামাজা, নিঁখুত সাজসজ্জা আর রঙের কাজ চলছে।
জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ রায় মুন্না জানান, পূজোর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয়ভাবে দেয়া ১৮টি নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কাজ করছেন। অতিমারির কারণে বাদ যাবে পটকা বাজি, আতশবাজি,শোভাযাত্রা,মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া তিনি আরো জানান,কোভিড ১৯ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে মন্ডপগুলোয় যেন পূজা উদযাপন করা হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় মন্ডপ ঘিরে থাকবে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রতিবারের মত এবারো তারা বেশ তৎপর।
আসন্ন পূজো উপলক্ষে জেলা ব্যাপী স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেন দর্শণার্থী ও ভক্তরা মন্ডপে আসতে পারেন সেজন্যে একযোগে সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করবে পুলিশ প্রশাসন।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় সর্বমোট ১০০৫টি পূজামন্ডপের মধ্যে জেলায় সার্বজনীন পূজামন্ডপ রয়েছে ৮৭৯টি ও ব্যক্তিগত পূজামন্ডপ রয়েছে ১২৬টি। জানা যায়, এবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ৯৫টি, মৌলভীবাজার সদর পৌরসভায় ১৭টি, বড়লেখা উপজেলায় ১৫০টি, জুড়ী উপজেলায় ৬৭টি, কুলাউড়া উপজেলায় ২১৮টি, রাজনগর উপজেলায় ১২৯টি, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৫৩টি ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় রয়েছে মোট ১৭৬টি পূজামন্ডপ রয়েছে।