সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে বাড়ীর ভিতর দিয়ে প্রতিবেশী লন্ডনীকে পানি নিষ্কাষণ পথ না দেয়ায় লন্ডনীর পক্ষ নিয়ে রাস্তার কালভার্টে বাধ দিয়ে ওই বাড়ীর পানি নিষ্কাষন আটকে দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি পক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৮নং কনকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডস্থিত বুদ্ধীমন্তপুর গ্রামে।
জানা গেছে- গ্রামের সুলতান লন্ডনীর বাড়ীর পানি নিষ্কাষণ হচ্ছিলো প্রতিবেশী বিল্লালের বাড়ীর ভিতর দিয়ে। এতে আপত্তি করায় বিল্লাল ও সুলতান লন্ডনীর মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি পক্ষ সালিশে বসে সুলতান লন্ডনীর বাড়ীর পানি বিল্লালের বাড়ীর ভিতর দিয়ে নিষ্কাষণের সিদ্ধান্ত দিলে বিল্লাল তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে বিল্লাল তার বাড়ীর সেই প্রান্তে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মানকাজ শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই পঞ্চায়েতের পক্ষে রফিক মিয়া, মিন্টু মিয়া, সুরুজ মিয়া, নুরুল মিয়া প্রমুখের সহযোগীতায় সেলিম মিয়া, রাতু মিয়া ও খোকন মিয়া গ্রামের মূল রাস্তায় বিল্লালের বাড়ীর পাশের মিনি কালভার্টের মুখে বাধ দিয়ে পানি নিষ্কাষণ বন্ধ করে দেন। সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
বিল্লাল বলেন- সুলতান লন্ডনীর বাড়ীর দুইদিকেই পানি নিষ্কাষণের সুবিধা থাকা সত্তেও তিনি আমার বাড়ীর ভিতর দিয়ে পানি নিষ্কাষণ করতে চান। পঞ্চায়েতের একটি পক্ষও সুলতান লন্ডনীর পক্ষ নিয়ে আমাকে হয়রানীর জন্য কালভার্টের মুখে বাধ দিয়ে পানি নিষ্কাষণ বন্ধ করেছেন। সুলতান লন্ডনীর বাড়ীর দিকে প্রায় দুইফুট জায়গা ছেড়ে আমি সীমানা প্রাচীর নির্মান করেছি।
সুলতান লন্ডনী বলেন- অন্ততঃ ৩০ বছর যাবৎ আমার বাড়ীর পানি এদিক দিয়ে নিষ্কাষণ হয়ে আসছে। এখন বিল্লাল সীমানা প্রাচীর নির্মান করে আমার বাড়ীর পানি নিষ্কাষণ বন্ধ করে দিয়েছে। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তও সে মানেনা। তাই, পঞ্চায়েত ওই কালভার্টের মুখে বাধ দিয়েছে।
কনকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহিন আহমদ বলেন- আমাদের গ্রামের কিছু লোক অযৌক্তিকভাবে বিল্লালের বাড়ির উপর দিয়ে সুলতান লন্ডনীর বাড়ীর পানি নিষ্কাষণের পক্ষে কথা বলে। কালভার্টের মুখে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাষণ আটকে দেয়া মোটেই উচিত হয়নি। কনকপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজা আহমদ চৌধুরী বলেন- এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সর্বশেষ- এ বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যকার বিরোধ ক্রমশঃ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যেকোন সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশংকা রয়েছে।