জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার ১৬ দিন পেরিয়ে গেলে ও রিপোর্ট আসেনি অনেকের। নমুনা ঢাকায় পাঠানোর অজুহাতে রিপোর্ট পাচ্ছেন না রোগীরা। জ্বর,সর্দি থাকলে ও একদিকে পরীক্ষার প্রবণতা কম অন্যদিকে যারা পরীক্ষা করছেন রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে তাদের। এ অবস্থা মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
জানা গেছে, যাদের উপসর্গ আছে তারা সংশ্লিট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে নমুনা দিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংগ্রহ করা নমুনা মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়। প্রথম দিকে সেখান থেকে তা পাঠানো হতো ঢাকায়। এরপর সিলেটে নমুনা পরীক্ষা চালু হলে পাঠানো শুরু হয় সিলেট। সেখান থেকে রোগীর মোবাইল নাম্বারে এসএমএসে এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে জানানো হয়। ৪ আগষ্ট থেকে ৮ আগষ্ট পর্যন্ত নমুনা ঢাকায় পাঠানোর কারনে রোগীদের এ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট থেকে ৮ আগষ্ট পর্যন্ত যারা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন সেকল নমুনা মৌলভীবাজারের পাঠানো হয়।সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানোর কারনে সেগুলোর রিপোর্ট আসছে না।এই দিনগুলোতে করা ৮৫ টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখন ও আসেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অফিসও বলতে পারছে না এই ফলাফল কখন পাওয়া যাবে। এদিকে যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তারা ও তাদের পরিবার আছে মহাদুশ্চিন্তায়।
রেপিড রেসপন্স টিম সূত্রে জানা গেছে সাধারনত রোগীরা নিজ ইচ্ছায় নমুনা দিতে চান না। অনেকে লুকিয়ে রাখেন প্রকাশ করতে চান না। এ দিকে কেউ কেউ স্ব-ইচ্ছায় আসেও। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে মূলত ভয়ে অনেকে নমুনা দিতে চায় না সামাজিক নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বলে।
বেলাগাও গ্রামের দুদুল মিয়া নামের এক রোগীর স্ত্রী বলেন, গত ৪ তারিখ আমার স্বামীর নমুনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিয়ে আসি।উনার শরীর খারাপ থাকায় কোথাও চিকিৎসা করায়নি,সবাই রিপোর্ট দেখতে চায়।অনেকবার বলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিপোর্ট পাইনি।বাধ্য হয়ে গত ১৮ তারিখ ঢাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে উনার পরীক্ষা করাই।রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় এখন অন্য রোগের চিকিৎসা করাচ্ছি। আতিকুর রহমান নামের আরেক রোগী বলেন,৮ তারিখ আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেই,এরপর অনেক অসুস্থ হয়ে পরলে সিলেটে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ আছি অথচ এখন ও রিপোর্ট পাইনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ বলেন, গত ৪ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত সিলেটের ল্যাব নষ্ট থাকায় এই চারদিনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।রিপোর্ট এখনও আসেনি।এরপরের নমুনা গুলো মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট পাঠানোর কারনে বাকী রোগীরা রিপোর্ট পাচ্ছে।