জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় গ্লাস কাটার মেশিন ক্রয়ের সূত্র ধরে পড়ল ছাত্রলীগ কর্মীসহ ২ চোর। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাদের ২ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এদের মধ্যে একজন জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগষ্ট রাতে উপজেলার বেলাগাও গ্রামের করিম মিয়ার বাড়ির গ্লাস কেটে ঘরে থাকা প্রায় ৬ লক্ষ টাকা অজ্ঞাতরা নিয়ে যায়।তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও জুড়ী থানাকে অবগত করেন।
গত ১৭ আগষ্ট জুড়ী বাজারে গ্লাস ঘরে এসে তারা খোজ খবর নেন বিগত ২ দিনে কারা গ্লাস কাটার মেশিন কিনেছে। সেখানে জুড়ী গ্লাস ঘরের দোকান থেকে জাবেদ নামের একটি ছেলে গ্লাস কাটার মেশিন কেনেছে বলে তথ্য দেন।করিম মিয়া এলাকার কয়েকজনের সহযোগিতায় একই গ্রামের জাবেদ মিয়াকে সন্দেহ হলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাকে ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে আসেন।
সেখানে স্থানীয় কয়েকজনের জিজ্ঞাসায় তারা স্বীকার করে যে, ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনের নেতৃত্বে সাজু, জাবেদ, গৌছ এই চারজন মিলে চুরি করে টাকা আল আমিনের কাছে রেখেছে। আল আমিন পলাতক থাকায় তার সহযোগী সাজু, গৌছ কে ধরে আনা হয়। ঐ দিন রাত ১২ পর্যন্ত কোন সমাধান না হওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান জাবেদ, সাজু, গৌছকে জুড়ী থানায় সোপর্দ করেন।
১৭ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাতে আল আমিনের পিতা ফিরোজ মিয়া বাদী করিম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত দিবেন মর্মে ক্ষমা চান। আল আমিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের অনুসারী। জায়ফর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা সালিশের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তারা যে টাকা নিয়েছে সেটি আগে উদ্ধার করি। আল আমিনের নেয়া ৩ লাখ টাকার একজন জিম্মাদার পেয়েছি, বাকি টাকা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, জায়ফর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চুর আটকের খবর দিলে থানা পুলিশ ৩ জনকে থানায় নিয়ে আসে। বাদী পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।