রাজনগরে বোন ও বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে বন্ধকী জমি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রহিমা বেগমের সংবাদ সম্মেলন

রাজনগরে বোন ও বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে বন্ধকী জমি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রহিমা বেগমের সংবাদ সম্মেলন

আল আমিন, রাজনগর (মৌলভীবাজার) :: রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নে বোনের কাছে জমি বন্ধক রেখে নেয়া টাকা ফেরত না দিয়ে বোনকে ওই বন্ধকী জমিতে ধান রোপনে বাঁধা দেয়াসহ বোন ও বোনের স্বামীর বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী বোন মোছাঃ রহিমা বেগম।
২০ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রহিমা বেগম জানান- তার স্বামী প্রবাসে থাকায় এবং বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় যাবতীয় কাজকর্ম তিনি দেখাশোনা করেন। উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের গবিন্দপুর গ্রামের তার বোন কুলসুমা বেগম ও বোনের স্বামী লোকমান খান জরুরী প্রয়োজনে জমি বন্ধক দেয়ার প্রস্তাব ও বন্ধক রাখার জন্য অনুনয় বিনয় করেন। বোনের স্বামীর সমস্যার কথা বিবেচনা করে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋন তুলে ১ লাখ দিয়ে ৭৫ শতক জমি বন্ধক রাখেন। কিছুদিন পর রহিমা বেগমের ছেলের সাথে তাদের মেয়ে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন কুলসুমা বেগম ও লোকমান খান। তিনি এ বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জানিয়ে দেন বন্ধকী জমিতে তাকে ধান রোপন করতে দেবেননা। এমনকি তার দেয়া ১ লাখ টাকাও ফেরত দেবেননা।
এমতাবস্থায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির নিকট বিষয়টির সমাধান চাইলে বোনের স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে রহিমা বেগমের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে রাজনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ ছালেকের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে শালিস বৈঠকে কুলসুমা বেগম বন্ধকি জমির টাকার কথা স্বীকার করলেও তাঁর এক আত্মীয়ের মেয়ের সাথে রহিমা বেগমের ছেলের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে বিয়ের মালামাল পাওনা রয়েছে দাবি করায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি।
রহিমা বেগম মালামালসহ কাবিনের মোহরানার টাকা পরিশোধ হয়েছে মর্মে লিখিত স্ট্যাম্প ও তালামনামা দেখিয়ে পূর্ণরায় বিচার দাবি করলে, শালিস বৈঠকে পরবর্তী বিচারের দিন নির্ধারিত হওয়ার পূর্বেই কামারচাক ইউনিয়নের কালাইর কোনা গ্রামের কুদ্দুস মিয়া ও কুলসুমা বেগমের স্বামীসহ রহিমা বেগমের সাথে দেখা করে জমিতে ধান রোপনের কথা বলেন।
রহিমা বেগম জমিতে ধান রোপন করার পরদিন কুলসুমা বেগমের স্বামী লোকমান খান রাজনগর থানায় জোরপূর্বক জমিতে ধান রোপনের অভিযোগ দাখিল করেন এবং রহিমা বেগম পাওনা টাকা উদ্ধারের অভিযোগ দায়ের করলে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে এনে রহিমা বেগমকে লোকমান খানের জমি ছেড়ে দিয়ে দুইবোনের মধ্যে বন্ধকি জমির টাকার বিষয়টি মিমাংসা করে নিতে বলেন। বিষয়টির মিমাংসা না করে লোকমান খান রহিমা বেগমের ভাইয়ের চাষকৃত জমিতে কাঁচের বোতল ভেঙ্গে চাষাবাদে বাধাসৃষ্টিসহ ভাইয়ের স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করে রহিমা বেগম ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বীকারউক্তি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে মানসম্মান ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন বন্ধকী জমির টাকা ফেরত না পাওয়ায় স্বামীর সাথে তার সংসার ভেঙ্গে যাবার উপক্রম হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *