সুরমার ঢেউ সংবাদ :: আগামী ৭ আগস্ট থেকে সিলেট নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে করোনার গণ টিকাদান শুরু হচ্ছে। ১২ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
এজন্য সিলেট নগরীতে ৫৪টি বিশেষ টিকা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। যারা অনলাইনে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি তারাও এই কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিতে পারবেন। টিকা নেয়ার সময় এনআইডি কার্ড সঙ্গে থাকলেই চলবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সিটি এলাকার জন্য মডার্না ও উপজেলাগুলোর জন্য সিনোফার্মা’র টিকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে টিকার ধরণ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। তাদেরকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্যবিভাগও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ফেরা হাজার হাজার প্রবাসী শিগগিরই বিদেশে যাবেন। বিভিন্ন দেশ মডার্নার টিকা বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে, উপজেলা পর্যায়ের প্রবাসীরা কেউই স্থানীয়ভাবে টিকা নিচ্ছেন না। তারা মডার্নার টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশনের সময় সিলেট নগরীর ঠিকানা দিচ্ছেন। ফলে, সিলেট নগরীর প্রায় ৬ লাখ নাগরিকের তালিকায় যোগ হচ্ছেন প্রবাসীরাও।
শুধু তাই নয়, সিলেট নগরীর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে সদর উপজেলাও। সব মিলিয়ে টিকা প্রদান নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ হিমাংশু লাল রায় জানান- সিলেটে করোনা সংক্রমণের ক্রমশ ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ টিকার জন্য উদগ্রীব।
প্রতিদিনই টিকা কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। ফলে, স্বাধ্যবিধির চরম লঙ্ঘনসহ টিকাদানের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। টিকা কেন্দ্রে ধাক্কাধাক্কি মারামারির ঘটনাও ঘটছে। এমতাবস্থায় গণটিকার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- রেজিস্ট্রেশন করা ১৮শ জনের মোবাইলে বার্তা পাঠানো হলেও নগরীর টিকা কেন্দ্রে হাজির হন কয়েক হাজার। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ৩ হাজার ৫১ জন ও ওসমানী মেডিকেলে ২ হাজার ৪শ জন টিকা নেন। এমন পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে দ্রুত টিকাদানের আওতায় আনার চেষ্টা সংশ্লিষ্টদের।
সূত্র আরও জানায়- ৩১ জুলাই শনিবার পর্যন্ত সিলেট নগরীতে প্রায় ৮৮ হাজার নাগরিককে করোনার প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে। চলতি রেজিস্ট্রেশন থেকে টিকাদান চালু রাখা হলেও প্রথম ধাপে রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় ৩৭ হাজার নাগরিক এখনও টিকা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। করোনার টিকা সংরক্ষণ করতে হয় প্রায় মাইনাস ১৫ ডিগ্রির মধ্যে। কিন্তু, সিলেটে বিপুল পরিমাণে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নেই। তাই টিকাদান চালিয়ে যেতে হচ্ছে ধাপে ধাপে টিকা আনার মাধ্যমে।