সুরমার ঢেউ সংবাদ :: লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির একমাত্র জীবিত পুত্র সাইফ আল ইসলাম অবশেষে জনসম্মুখে। তিনি আগামীতে লিবিয়ার নেতৃত্ব দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন। লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান তিনি। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ ১০ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ থেকে দূরে রয়েছি। ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।’ সাক্ষাৎকারে ‘বন্দী কি না’ এ প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘তিনি এখন মুক্ত এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে কাজ করছেন। আপনি কল্পনা করতে পারেন ? যারা আমাকে বন্দী হিসেবে পাহারা দিয়ে রাখার কথা ছিল, তারা এখন আমার ভালো বন্ধু। এক দশক আগে যারা তাকে গ্রেপ্তার করেছিল, পরে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। একসময় সেই বিপ্লবীরা উপলব্ধি করে, সাইফ তাদের শক্তিশালী মিত্র হতে পারে।’
২০১১ সালের নভেম্বরে লিবিয়ার সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আজমি আল-আতিরি সাইফ গাদ্দাফিকে আটক করে এবং তখন থেকে সাইফ এ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত কারাগারে আটক ছিলেন। লিবিয়া সরকার অবশ্য দাবি করেছিল, সাইফ গাদ্দাফি তাদের নিয়ন্ত্রিত কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফসহ গাদ্দাফির শাসনামলের প্রায় ৩০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের সময়কার অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিদ্রোহীদের হাতে প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি নিহত হবার একদিন পর সাইফও ধরা পড়েন। ২০১৭ সালে বিদ্রোহীদের কবল থেকে মুক্তি পাবার পর সাইফকে আর জনসমক্ষে তেমন দেখা যায়নি। বাবা গাদ্দাফি হত্যার পর তাকেই লিবিয়ার পরবর্তী উত্তরসূরি ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু, তা হয়ে উঠেনি। গাদ্দাফির ৭ সন্তানের মধ্যে ৩ জন হত্যাকা-ের শিকার হন।