সুরমার ঢেউ সংবাদ :: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বৈরাগীপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমেনা খাতুনসহ ৩ সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমেনা খাতুনের ২ বছরের বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি স্থগিতাদেশ করা হয়েছে। অপর সহকারী ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।
জানা যায়, আমেনা খাতুন দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বৈরাগীপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কাগজে কলমে দায়িত্ব পালন করলেও স্কুলে ছিলেন অনুপস্থিত। অথচ বেতন ভাতাসহ সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন নিয়মিত।
অন্য ৩ সহকারী শিক্ষকও স্কুলে নিয়মিত উপস্থিতি নিয়ে অবহেলা করে আসছিলেন। তারা স্কুলে না গিয়ে অন্য লোককে প্রক্সি খাটিয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন। অভিযোগ, স্থানীয় শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে বছরের পর বছর এ অনিয়ম চালিয়ে আসছিলেন তারা।
এক পর্যায়ে স্থানীয় অভিভাবকরা বিষয়টি লিখিতভাবে বিভাগীয় পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা, সিলেটকে জানালে অভিযোগের তদন্ত করা হয়। সত্যতা পেয়ে আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। এ মামলায় তার দুই বছরের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়।
এদিকে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আজাদ, সীমা দেবসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি খুবই অসুস্থ । বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে সিলেট বিভাগীয় অফিসে যোগাযোগ করার জন্যে বলেন। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল