সুরমার ঢেউ সংবাদ :: সিলেট ফ্রিল্যান্সার স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছে ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার।
টিলাগড়ে শাখা উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফ্রিল্যান্সার স্কুলের প্রতিষ্টাতা জাকির আহমদ, আই.এল এ এর ডিরেক্টর নজরুল আনসারি এবং ফ্রিল্যান্সার স্কুল ধারণ বাজার ব্রাঞ্চের প্রধান সাব্বির আহমদ শাওন।
বক্তারা বলেন, পরিবর্তনশীল এবং প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বায়নের এ সময়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারনে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং অব্যবস্থাপনার কারনে বেকার সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশও এ পরিস্থিতির শিকার। যার ফলে, বেকার যুবকদের পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষ জীবনের প্রয়োজনে বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আইসিটি খাতকে আরো বেশি জোর দিয়েছেন। এরই ধারাবিহকতায় ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দটি বাংলাদেশের মানুষের মাঝে দ্রুত প্রসার লাভ করছে এবং হয়তো ভবিষ্যতে আরও করবে। ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দের মূল অর্থ হল মুক্ত পেশা।
বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিশাল বাজার বা অনলাইন মার্কেট প্লেস এর শীর্ষভাগ আমাদের পাশের দেশ ভারতের হাতে। ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিসে ভারতের পাশাপাশি ফিলিপিনস, পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চীন, রাশিয়া, পানামা, মিসর এবং আরও অনেক দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
অনলাইন মার্কেট প্লেসে বাংলাদেশ অনেক দেরিতে প্রবেশ করলেও স্বপ্ন দেখার মতো বিষয় হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ে আমরা ধীরে ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছি। সম্ভাবনাময় দেশের কাতারে চলে এসেছে বাংলাদেশ। তাই আউটসোর্সিংয়ের মতো শিল্প হয়ে উঠছে বেকার সমস্যা সমাধান এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উপায়।