সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার প্রেমনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফেআরা বেগমের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ এসব অভিযোগ করেছেন। তারা রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও দুদক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের অভিযোগে প্রকাশ- প্রধান শিক্ষক লুৎফেআরা বেগম বিদ্যালয়ের স্ক্যাচম্যাপ এরিয়ার লোকজনকে অবহিত না করে তার পছন্দের স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন লোকদেরকে নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন। করোনা দূর্যোকালীন সময়ের পূর্বে প্রায়ই অফিসিয়াল কাজের অজুহাতে পাঠদানে বিরত থেকেছেন। বাণিজ্যিক স্বার্থে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে কাগজ, কলম, খাতা ও বিভিন্ন প্রকাশনীর নিম্নমানের গাইড বই বিক্রি করেন। এমনকি, তার কাছ থেকে এসব শিক্ষা উপকরণ ক্রয় না করলে ছাত্রছাত্রীদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখান। ছাত্রছাত্রীদেরকে দিয়ে তার নিজের ও বিদ্যালয়ের আনুসাঙ্গিক কাজ করান। বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ের স্লিপের বরাদ্দকৃত টাকা, এলজিইডি, পিআইও দপ্তর, স্পেশাল বরাদ্দ ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক অনুদানের টাকা আসলে তিনি ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করেননা। বিগত কয়েকবছর যাবৎ তিনি এভাবেই বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি যাবতীয় কাজের হিসাব চাইলে তিনি দিব, দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপন করেন। ম্যানেজিং কমিটিকে অশালীন কথাবার্তা বলে বিভিন্ন ধরনের আইনী ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অজ্ঞাতে তার স্বাক্ষর ছাড়াই ব্যাংক থেকে বিদ্যালয় তহবিলের টাকা উত্তোলন করেন। ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদেরকে হিসাব দেয়ার জন্য তিনি ৮নং মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তারিখ ধার্য্য করলেও, নির্ধারিত তারিখে তিনি অনুপস্থিত থাকেন এবং সভাপতিকে হিসাব দিবেননা বলে জানিয়ে দেন। তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে ইতিপূর্বে বিদ্যালয়ে একটি লজ্জাজনক ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে- যা পরে এলাকাবাসী জানতে পারেন। তার এসব কর্মকান্ডে ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এমতাবস্থায়, তারা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে সরেজমিন তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য চাইলে প্রধান শিক্ষক লুৎফেআরা বেগম বলেন- অভিযোগের তদন্ত চলছে বিধায় আমি কোন বক্তব্য দিতে রাজী নই। এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাফর আল সাদিক জানান, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তদন্তের জন্য একটি অভিযোগ আসলেও, তদন্ত এখনো শুরু করিনি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো।