শ্রীমঙ্গলে ব্যাপক হারে কৃষিজমির মাটি কাটায় “কমছে কৃষি জমি”

শ্রীমঙ্গলে ব্যাপক হারে কৃষিজমির মাটি কাটায় “কমছে কৃষি জমি”

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালীরা ব্যাপক হারে নির্বিঘ্নে ফসলি উর্বর কৃষিজমির মাটি মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। এসব ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার পর তা পরিবহনের জন্য পাকা ও কাঁচা সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে। মাটি বোঝাই যন্ত্রদানব ট্রাক্টর ও ট্রাক চলাচল করার কারণে রাস্তায় মাটি পড়ে তা অন্যান্য যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। এতেকরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি জমির উর্বর মাটি ৬ ইঞ্চি পরিমাণ গভীরতা চাষাবাদ উপযোগী। এ মাটি সরিয়ে ফেলা হলে পরের ৪-৫ বছর এ জমিতে ভালো ফসল হয়না। প্রচুর গোবর ও জৈবসার দিয়ে মাটিকে উৎপাদনের উপযোগী করতে কোন কোন ক্ষেত্রে ৮/১০ বছর লেগে যায়- যাতে শুধু কৃষকেরই ক্ষতি হচ্ছেনা, মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে গোটা দেশের কৃষিজ উৎপাদনে। মাটি কেটে নেয়া এসব জমিকে উপযোগী করতে প্রচুর পরিমাণ কৃত্রিম ও জৈবসার প্রয়োগ করতে হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর, ভূনবীর, সিন্দুরখান, আশিদ্রোন, কালাপুর ও শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষিজমির কেটে মাটি নেয়া হচ্ছে। এসব মাটি ট্রাক ও ট্রাষ্টর বোঝাই করে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে দিন দিন কমে আসছে আবাদি জমি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, কৃষি জমির উর্বর মাটি ৬ ইঞ্চি পরিমাণ গভীরতা হলে ওই জমিতে প্রচুর গোবর ও জৈবসার দিয়ে মাটিকে উৎপাদনের উপযোগী করতে ৮/১০ বছর লেগে যায়। মৌলভীবাজার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এ বিষয়ে কথা বলতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *