সুরমার ঢেউ সংবাদ :: দেশে চা উৎপাদন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০.৪৫ মিলিয়ন কেজি বেশী হয়েছে বিদায়ী বছরে। করোনা পরিস্থিতিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। এছাড়াও, উৎপাদনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, বাগানে কঠোরভাবে কোভিড প্রটোকল নিশ্চিতকরণ, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও রেশন বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের ফলে বিদায়ী বছর ২০২০ সালে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী চা উৎপাদন হয়েছে। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চা শিল্পের উন্নয়নে ‘উন্নয়নের পথনকশা ঃ বাংলাদেশ চা শিল্প’ নামে মহাপরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে চায়ের উৎপাদন ১৪০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নীত করতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
২০২০ সালে দেশের ১৬৭টি বৃহদায়তন এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে মোট ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। ২০২০ সালে উন্নয়নের পথনকশায় চায়ের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫.৯৪ মিলিয়ন কেজি। বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০.৪৫ মিলিয়ন কেজি বেশী চায়ের উৎপাদন হয়েছে। তবে, এবছর শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের সমতলের চা বাগান থেকে রেকর্ড পরিমাণ ১০.৩০ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে- যা গতবছর ৯.৬০ মিলিয়ন কেজি ছিল।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। এছাড়াও, উৎপাদনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, বাগানে কঠোরভাবে কোভিড প্রটোকল নিশ্চিতকরণ, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও রেশন এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২০ সালে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী চা উৎপাদন হয়েছে।
মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের চা শিল্প উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম অর্থ্যাৎ চা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড সুত্র জানায়, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চা শিল্পের উন্নয়নে ‘উন্নয়নের পথনকশা ঃ বাংলাদেশ চা শিল্প’ নামে মহাপরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে চায়ের উৎপাদন ১৪০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নীত করতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
এর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে বাম্পার ফলনের ফলে দেশে ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ ৯ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল। দেশের চা-শিল্পের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে এটি ছিল সর্বোচ্চ উৎপাদন। এ উৎপাদনের মাধ্যমে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশের চা-শিল্প। ওই বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ মিলিয়ন কেজি। সেসময় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৬.০৭ মিলিয়ন কেজি চা বেশী উৎপাদনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।