সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে পৃথক ঘটনায় এক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষন ও এক অন্ত:সত্তা গৃহবধু গণধর্ষনের শিকার হবার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা এ ২ জনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের জসমতপুর গ্রামের ১৩ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে পাশের বাড়ীর এক যুবক ঘরে ঢুকে ধর্ষন করে। ঘটনাটি ঘটে ১৬ জানুয়ারি শনিবার দূপুরে। এসময় শিশুটির মা ও বাবা ঘরে ছিলেন না। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা চিকিৎসা ও সমঝোতার আশ^াস দিয়ে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য জানায়। পরে প্রতিবন্ধী শিশুর শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে ঘটনার ৪র্থ দিন ২০ জানুয়ারী বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৩ বছরের শিশুর মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ১৩ বছর ধরে অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে বাচ্চাদের লালন-পালন করছি। আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে যে এমন করেছে তার দৃষ্টানতমূলক বিচার চাই। তিনি বলেন, সরকার থেকে আমার মেয়েটি প্রতিবন্ধী ভাতাও পাচ্ছে।
অপরদিকে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গুজারাঐ গ্রামের মছব্বির মিয়ার বস্তিতে মধ্যরাতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ৩ মাসের অন্ত:সত্তা এক গৃহবধুকে ৪ জন মিলে গণধর্ষন করে। এসময় তার স্বামী সিএনজি অটোরিক্সা চালক জুবেদ মিয়া ঘরে ছিলেন না। অন্ত:স্বত্বা গৃহবধূ বলেন, রাত ১টার দিকে প্রথমে ঘরে এসে ডাকাডাকি করলে তিনি দরজা খুলে না দেয়ায় তারা চলে যায়। পরে রাত ৩টার দিকে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তিনি তিন মাসের অন্ত:স্বত্তা বলেও জানান। তিনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
ধর্ষিতার স্বামী বলেন, তিনি সিএনজি অটোরিক্সা চালক। তার দুই সংসার রয়েছে। এটি তার দ্বিতীয় সংসার। ঘটনার দিন রাতে তিনি কলোনীর বাসায় না ফিরে নিজ বাড়িতে ছিলেন। রাত ৪টার দিকে ফোন পেয়ে বাসায় এসে লোকজনের কাছ থেকে ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে এসব শুনেছেন। তিনিও তার স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পার্থ সারথী দত্ত কানুনগো জানান, দু’জনই সেক্সুয়াল এসল্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একটি মেডিকেল টিম তাদেরকে চিকিৎসা দিচ্ছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মোঃ ইয়াছুনুল হক ও কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখনও এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।