সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নস্থিত শান্তকুল উচ্চ বিদ্যালয়ে লোক নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করা হয়েছে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর। ৯ ডিসেম্বর বুধবার রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং রাজনগর উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অনুলিপিসহ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগটি দেিয়র করেন শান্তকুল গ্রামের নাগরিক, শান্তকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা, প্রতিষ্ঠাতা, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে সদস্য মোঃ আব্দুল বাছিত (মাষ্টার)।
অনুলিপি প্রাপ্ত হয়ে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন।
মোঃ আব্দুল বাছিত (মাষ্টার) জানান, তিনি শান্তকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীণ (১৯৭৪-২০০৮ইং) সময়ে এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য তার নিজ ভূমিতে শান্তকুল উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তিনি দীর্ঘদিন শান্তকুল উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালণকালীণ সময়ে প্রধান শিক্ষক শিমুল কান্তি পালকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেই প্রধান শিক্ষক প্রায় সবার অজান্তে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ২৫ নভেম্বর বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, লাইব্রেরীয়ান ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে তার পছন্দের ৩ জনকে মনোনীত করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হলে, প্রধান শিক্ষক অফিস চলাকালীন সময়ে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ৪টি খাতা গায়েব করে রাজনগর থানায় ১টি সাধারণ ডায়েরী করেন এবং তার মনোনীত পছন্দের ৩ জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য সর্বাত্নক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। আর, প্রকাশ্যেই তাকে সম্ভব সকল প্রকার সহযোগীতা করছেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি মোঃ আব্দুল আলী।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি মোঃ আব্দুল আলী বলেন- বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের একজন সদস্য এ নিয়োগ মেনে না নেয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য ১২ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেখা যাক কি করা যায়।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শিমুল কান্তি পাল জানান, আমি এখন ব্যস্ত আছি, পরে ফোন করব। পরে ফোন করে এ প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান- অভিযোগ সম্পর্কে শুনেছি। লোক নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা কমিটির। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।