সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর ইউনিয়নস্থিত শমসেরনগর এলাকার মৃতঃ হাজী খলিলুর রহমানের পুত্র হাজী আব্দুল বাছিত (মধু) কর্তৃক তার ছোটভাই সাইফুর রহমানের বাসাটি জবরদখলে রাখাকে কেন্দ্র করে চলমান দঢর্হদিনের বিরোধ ইউপি চেয়ার ম্য্যান জুয়েল আহমদ ও ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আজিজুর রহমান চৌধুরীর উদ্যোগে সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৬ নভেম্বর।
বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে- পৈত্রিক ও মাতৃক ভূসম্পদ ভাগ বন্টনে ছোটভাই সাইফুরের ভাগে প্রাপ্ত বাসাটি ভাগ বন্টনের পূর্ব থেকেই বড়ভাই মধু’র ভোগদখলে রয়েছে। ভাগ বন্টনের পর বড়ভাই মধু উক্ত বাসা ছেড়ে তার ভাগে প্রাপ্ত অন্য বাসায় চলে যাবার কথা থাকলেও, তিনি এ বাসাটি ছাড়েননি। এ নিয়ে বার বার সালিশ বৈঠকে বড়ভাই মধু এ বাসাটি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও, তিনি কোন সালিশের সিদ্ধান্তই কার্যকর করেননি।
নিরুপায় ছোটভাই সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদের নির্দেশনায় ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আজিজুর রহমান চৌধুরীর মধ্যস্থতায় ১৬ নভেম্বর সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে বড়ভাই মধু আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ছোটভাই সাইফুরের বাসাটি ছেড়ে দেয়ার মর্মে লিখিত সিদ্ধান্ত ও স্বাক্ষীসহ দুইভাইয়ের স্বাক্ষরিত সম্মতিতে বিষয়টির সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ছোটভাই সাইফুর এ প্রতিবেদককে জানান, বড়ভাই মধু সর্বশেষ সালিশ বৈঠকের উক্ত সিদ্ধান্তও কার্যকরের কোন লক্ষণ প্রতীয়মান হচ্ছেনা। উল্টো তিনি বাসায় নতুনকরে বিভিন্ন কাজকর্ম করানো অব্যাহত রেখেছেন। তবু আমি ধৈর্য্য ধরে সালিশের সিদ্ধান্ত কার্যকরের অপেক্ষায় আছি।
বড়ভাই মধু জানান, আমার ভূমিও তাদের ভোগদখলে রয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে এর সমাধান করে আমি এ বাসা ছেড়ে দেয়ার মর্মে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। তাই, আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা এখন আর নেই। তবু সাইফুর আমাকে নানাভাবে হয়রানী করছে।
সালিশে মধ্যস্থতাকারী শমসেরনগর ইউপির’র ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আজিজুর রহমান চৌধুরী জানান, মধু মিয়া তার ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধান করে ৬ মাসের মধ্যে সাইফুরের বাসা ছেড়ে দেয়ার মর্মে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। মধু মিয়া এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে লিখিত মুচলেকাও দিয়েছেন। কাজেই, এরপর এ বিষয়ে আর কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
তবে, পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার যদি বড়ভাই মধু বাসাটি না ছাড়েন, তাহলে উভয়পক্ষের মধ্যে অনাকাংখিত ঘটনা সংঘটিত হবার আশংকা রয়েছে।