বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পশু চোরাচালান বৃদ্ধি

বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পশু চোরাচালান বৃদ্ধি

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে পশু চোরাচালান। সংঘবদ্ধ চোরাচালানী চক্র প্রায় প্রতিরাতে ভারতীয় অবৈধ গবাদি পশুর চালান নিয়ে আসছে। জুড়ীর ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব-বটুলি সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি’র ফুলতলা বিওপির টহল দল শুক্রবার রাতে ভারত থেকে আনা ১টি অবৈধ মহিষ ও ৫টি গরু জব্দ করেছে। এসময় চোরাচালানীরা পালিয়ে যায়। আটক অবৈধ গবাদি পশুগুলো জুড়ী কাষ্টমসে জমা দিয়েছে বিজিবি।
৫২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর শুক্রবার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলতলা বিওপির টহল কমান্ডার সুবেদার মো. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবি’র টহলদল জুড়ী উপজেলার পূর্ব-বটুলী নামক স্থানে অবস্থান নেয়। মেইন পিলার ১৮২৩/৩৩-এস হতে ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একজন চোরাকারবারী ভারতীয় অবৈধ মহিষ ও গরুর একটি চালান নিয়ে আসতে দেখে বিজিবি তাকে ধাওয়া করে। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল মালিকবিহীন অবস্থায় ১টি ভারতীয় মহিষ ও ৫টি ভারতীয় গরু আটক করতে সক্ষম হয়- যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ লাখ টাকা। সীমান্তবাসী সুত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার বোবারথল ও জুড়ী উপজেলার বটুলি সীমান্ত দিয়ে গত ২ মাস ধরে চোরাকারবারীরা ভারতীয় মহিষ-গরু পাচারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে চোরাকারবারীরা অবৈধ গবাদি পশুর আড়ালে মাদকের বড় চালান নিয়ে আসার আশংকা রয়েছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল গাজী শহীদুল্লাহ জানান, সীমান্তে সব ধরণের চোরাচালান বন্ধে বিজিবি তৎপর রয়েছে। শুক্রবার রাতে আটক ভারতীয় অবৈধ গবাদি পশুগুলো ৩ অক্টোবর শনিবার বিকেলে জুড়ী কাষ্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *